ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৮ মে, ২০২৫

১ লাখেরও বেশি শিক্ষক পদ শূন্য, যা বললেন এনটিআরসিএ সচিব

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এক লাখেরও বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য। শিক্ষক সংকট নিয়েই চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সারাদেশে এমন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদ খালি আছে ১ লাখ ১ হাজার ১৪২টি।

বেসরকারি শিক্ষকনিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিলেও খালি থাকবে প্রায় ৮০ হাজার।

২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। এর ১০ বছর পর থেকে সনদের পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতা পায়। এরপর প্রকাশিত পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।

৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্যে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছে এনটিআরসিএ। সেই হিসাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক লাখ এক হাজার ১৪২টি পদ শূন্য রয়েছে।

এর মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিষ্ঠান সমূহে ৫৪ হাজার ৭২৮টি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৬ হাজার ৪১৪টি পদ শূন্য রয়েছে।

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়। এখনো ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা রয়েছে। অবসরজনিত কারণে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ২০ থেকে ২৫ হাজার শূন্য পদ।

তবে এবারের গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৮তম গণবিজ্ঞপ্তির প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন বিধায় অত্যধিক পদ পূরণ করা সম্ভব হবে। এবারই প্রথমবারের মতো তিন বছরের জন্য অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত চাহিদা দেয়া হয়েছে।

গত ৩১শে মার্চ প্রকাশিত পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬ টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে এই ধারাবাহিকতায় নিয়োগের পরও খালি থাকবে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএর সচিব এএমএম রিজওয়ানুল হক দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শূন্যপদ রয়েছে তবে আমরা নিয়মের বাইরে যেতে পারি না। নিয়ম মেনেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।’