বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালায় বড় পরিবর্তন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম

বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষিকা। ছবি- সংগৃহীত

বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষিকা। ছবি- সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। তবে এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

সূত্র বলছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। এ বিধিমালায় নারী ও পোষ্য কোটা বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামতের অপেক্ষায় রয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর

সূত্রের তথ্যানুযায়ী, নতুন বিধিমালা সংক্রান্ত মতামত পাওয়ার পর কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে। এ পরিপত্র জারি না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা (নিয়োগ) এস এম মাহবুব আলম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে জনপ্রশান এবং আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাদের মতামত পাওয়ার পর পরিপত্র জারি হবে। এরপর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। পরিপত্র জারির পূর্বে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে না। এজন্য কিছুদিন সময় লাগবে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে এ পদগুলো পূরণ করা হবে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৮ হাজার ৪৩টি পদ ফাঁকা রয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত এ সংখ্যা ১০ থেকে ১২ হাজার হয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের জন্য ৫ হাজার ১৬৬ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রয়েছে। নতুন প্রস্তাবিত বিধিমালায় এ তিন কোটার একটি কোটাও থাকবে না। তবে ২০ শাতংশ পদে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েল সবশেষ চাকরির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে।

এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রাথমিকেও ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য ১ শতাংশ কোটা। অন্য ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।

Link copied!