১৬ বছর পর আবার চালু হতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এই পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট মানদণ্ডে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীরাই এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রাথমিক শাখার শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। কিন্ডারগার্টেন বা বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পাবেন না।
সরকারি বিদ্যালয় ও পিটিআই সংলগ্ন বিদ্যালয়ের জন্য বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
কীভাবে হবে শিক্ষার্থী বাছাই?
প্রতি বিদ্যালয় থেকে শতকরা ৪০ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষার জন্য মনোনীত হবে।
বাছাই হবে প্রথম সাময়িক (প্রথম প্রান্তিক) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।
নির্বাচিতদের ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করে তথ্য পাঠাতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্ধারিত ছকে।
নীতিমালা না মানলে সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন অধিদপ্তরের বৃত্তি শাখার এক কর্মকর্তা।
কোন বিষয়ের ওপর হবে পরীক্ষা?
বাংলা, ইংরেজি ও প্রাথমিক গণিত প্রত্যেক বিষয়ের ওপর ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় থাকবে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। প্রতিদিন একটি করে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান মিলে একটি পরীক্ষায় মোট ১০০ নম্বরের (৫০+৫০) পরীক্ষা হবে। সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
বছরের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে ১–১০ ডিসেম্বর। বৃত্তি পরীক্ষা হতে পারে ২১–২৪ ডিসেম্বর।
সম্ভাব্য সময়সূচি হলো-
২১ ডিসেম্বর: বাংলা
২২ ডিসেম্বর: ইংরেজি
২৩ ডিসেম্বর: গণিত
২৪ ডিসেম্বর: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান
আপনার মতামত লিখুন :