পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) চলমান অরাজকতা, প্রশাসনিক বৈষম্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ (কর্মকর্তা ইউনিট)।
কিন্তু প্রশাসন বলছে, ‘স্মারকলিপি হাতে পাইনি’। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত ১২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিজম পতনের পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরগুলোতে বৈষম্য, অরাজকতা ও দুর্নীতি বিদ্যমান। ফ্যাসিস্ট আমলের শিক্ষক–কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রশাসনের নীরবতায় আমরা উদ্বিগ্ন।
জিয়া পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. ফ্যাসিজমের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণ।
২. খণ্ডকালীন কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ।
৩. গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে সিনিয়র কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান ও স্থায়ী নিয়োগ।
৪. অর্থ ও হিসাব শাখায় ২ কোটি ৯ লাখ টাকার দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার।
৫. সাম্প্রতিক ১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ে তদন্ত।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, দাবিগুলো ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে কর্মকর্তারা তদন্ত কমিশন থেকে পদত্যাগ করবেন এবং মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনসহ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
জিয়া পরিষদের সভাপতি মো. আবু বকর সিদ্দিক ও নির্বাহী সদস্য মো. ফারুক হোসেনসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্য স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, ‘এখনো এ সংক্রান্ত কোনো স্মারকলিপি হাতে পাইনি। প্রাপ্তি ও জারি শাখায় খোঁজ নিতে হবে।’
অন্যদিকে, ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন