বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম

ফের পরিবর্তনের আভাস বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালায়

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম

প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিচ্ছেন এক শিক্ষিকা। ছবি- এআই

প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিচ্ছেন এক শিক্ষিকা। ছবি- এআই

আদালতে চলমান মামলা এবং প্রার্থীদের কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের দাবির প্রেক্ষিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা ফের পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। 

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, ইনডেক্সধারী সব শিক্ষককে বদলির আওতায় নিয়ে আসতে আদালতে একটি রিট করা হয়েছে। এটি সমাধান না করলে বদলি চালু করা সম্ভব হবে না। এজন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে একটি সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বদলি চালু করা সম্ভব হবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা পরিবর্তন ছাড়া বদলি চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। নীতিমালা যেহেতু সংশোধন করতেই হবে, সেহেতু শিক্ষকদের আরও কয়েকটি দাবির বিষয়টিও নীতিমালায় যুক্ত করা হবে।’

নীতিমালা সংশোধন করতে সময় লাগবে, এর ফলে বদলি কার্যক্রম শুরু করতে অনেক দেরি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নীতিমালা সংশোধন করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। সময় লাগবে মূলত উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত পেতে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে অনুমতি পেলে সাত কার্যদিবসের মধ্যে নীতিমালা সংশোধন করা সম্ভব।’

এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একটি সূত্র জানিয়েছে, একটি ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলির সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছিল। কোনোপ্রকার দরপত্র ছাড়াই ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। তারা বিনামূল্যে একটি সফটওয়্যার তৈরি করে। সেটির ট্রায়াল হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪৫টি  স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে। এ ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হলেও সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান যে সফটওয়্যার তৈরি করেছিল সেটি তারা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে। তবে আমরা নিয়ন্ত্রণ নিজেদের আওতায় রাখতে চাই। বদলি একটি গোপনীয় বিষয়। এখানে নানা অনিয়ম হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানকে এর নিয়ন্ত্রণ দিলে জটিলতা তৈরি হতে পারে। এতগুলো শিক্ষকের তথ্য এভাবে অন্যদের হাতে দিয়ে দেওয়া উচিত হবে। এ জন্য আমরা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার নতুন করে তৈরি করব। এ জন্য যাবতীয় কার্যক্রম নতুন করে শুরু করা হবে।’

শিক্ষকদের অভিযোগ, এ ধরনের দ্বন্দ্ব মূলত প্রশাসনিক অদক্ষতা ও দায়িত্ব পালনের অভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। তারা দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু করে স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বদলি কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা অনুযায়ী গত ১৫ সেপ্টেম্বরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করার কথা ছিল। তবে নানা জটিলতায় সেই কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!