শিগগিরই প্রকাশ হচ্ছে ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া দ্রুত এগোচ্ছে। রিপিট ক্যাডারের প্রায় ৪০০ পদে নন-ক্যাডার প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়ার জন্য বিধি সংশোধনের বিষয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি হলেই ফল প্রকাশ করবে পিএসসি।

পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বলেন, বিধি সংশোধনের জন্য কমিশন একটি প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল। সে প্রস্তাব অনুমোদন দিয়ে আমাদের মতামত চাওয়া হয়েছিল। আমরা মতামত দিয়েছি। এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করবে। পরিপত্র জারির পরই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

চূড়ান্ত ফল প্রকাশে কত সময় লাগতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন থেকে যত দ্রুত পরিপত্র জারি হবে, তত দ্রুত ফল প্রকাশিত হবে।’

গত ৩০ জুন পিএসসি ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছিল। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। তবে বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন রিপিট ক্যাডারযারা পূর্ববর্তী বিসিএস পরীক্ষাতেও একই ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

রাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম, শাটডাউন স্থগিত

বিস্তারিত পড়ুন

পিএসসি জানিয়েছে, রিপিট ক্যাডারের কারণে অপেক্ষমাণ যোগ্য প্রার্থীরা সুযোগ হারাচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সমস্যার সৃষ্টি করছে। তাই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর ১৭ নম্বর বিধিতে নতুন শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে, এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থিগণকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে।’

‘আরও শর্ত থাকে যে, প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে; আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে, দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’