তিন দফা দাবি আদায়ে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকেই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে এমপিওভুক্ত স্কুল–কলেজে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিনের দাবি আদায়ে রোববার (১২ অক্টোবর) এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হন। বাড়ি ভাড়া হিসেবে মূল বেতনের ২০ শতাংশ ভাতাসহ তিন দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য তোলা দাবি আদায়ে খোলা আকাশের নিচে শহীদ মিনারে রাত কাটান। পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ থেকে পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণাও দেন তারা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষক-কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে অবস্থান করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, যতক্ষণ সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, যেকোনো মূল্যে আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও জানান, সোমবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চলবে। তবে, আমরা রাতে একটা বৈঠকে বসব। সেখানে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হলে বা সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এলে তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
সংগঠনটির নেতারা জানান, সরকারের ঘোষিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি এবং সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়ন দাবি করছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন