যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের চলমান প্রকল্পের আওতায় এমআরটি লাইন-৫-এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন স্থাপনসহ নবীনগর পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছে ছাত্রশিবির।
রোববার (২৩ মার্চ) এ দাবির প্রেক্ষিতে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাকার সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব কম হলেও দীর্ঘ যানজট ও দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা চাকরিসহ নানামুখী প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন। জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে হলে দীর্ঘ সময় রাস্তায় আটকে থাকতে হয়, যা তাদের শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি, এ অঞ্চলের হাজারো কর্মজীবী মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতে সময় ও অর্থের অপচয় হয়।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত পাতাল ও উড়াল পথ মিলিয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩.৫০ কিলোমিটার পাতাল রেল ও ৬.৫০ কিলোমিটার উড়াল রেল হবে।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এবং সার্বিক যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করতে এই প্রকল্পের সাউদার্ন রুটের সম্প্রসারণের দাবি জানানো হয়েছে। হেমায়েতপুরের পরিবর্তে নবীনগর পর্যন্ত এই রুট সম্প্রসারণ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি স্টেশন স্থাপন করলে এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ সরাসরি মেট্রোরেল সুবিধা পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া এলাকার বাসিন্দারাও এই সুবিধা ভোগ করবেন।
এ রুটটি মিরপুর হয়ে ভাটারাগামী হলেও এমআরটি লাইন-৬-এর সঙ্গে গাবতলী ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে নর্দান রুটের সুবিধা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, হেমায়েতপুর ডিপোর শতভাগ ভূমি অধিগ্রহণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং ভূমি উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এ রুটের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকায় দ্রুততম সময়ে নবীনগর পর্যন্ত সম্প্রসারণ প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব বলেন, মেট্রোরেলের সাউদার্ন রুট নবীনগর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি স্টেশন স্থাপন করা হলে শিক্ষার্থীসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ সরাসরি মেট্রোরেল সুবিধা পাবেন। এতে ঢাকার সঙ্গে এই অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ ও দ্রুত হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে এই লাইনের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে এখনই এই দাবিটি তোলা সময়োপযোগী।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ এই দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে পরবর্তী মিটিংয়ে তা উত্থাপন করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

 
                             
                                    

 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
       -20251031164732.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন