হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণার পরই বিক্ষোভের ডাক দেন তারা। এ সময় হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এর মধ্যে শনিবার রাতে জাবির তাজউদ্দীন আহমদ হল থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। সব হল প্রদক্ষিণের পর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয় মিছিলটি। এরপর বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসেন উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান। এ সময় ছয় দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ, ভবিষ্যতে হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী এবং গণরুম ও গেস্টরুমে ‘র্যাগিং’ সংস্কৃতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তির সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন, অতি দ্রুত হল সংসদ গঠন করে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক সংগঠনের যেকোনো উপহারসামগ্রী একমাত্র হল প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান এবং এতে ওই সংগঠনের নাম বা কোনো চিহ্ন ব্যবহার না করা, হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগতদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ, হলের মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা আগের বিভিন্ন সময়ে দেখেছেন হলে রাজনীতির মাধ্যমে ছাত্রলীগ কীভাবে আতঙ্ক তৈরি করেছিল। আবারও সেসব কর্মকাণ্ড ফিরে আসুক, তা তারা চান না।
এ বিষয়ে জাবির উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘আমি হুট করেই একটা সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা রোববার একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করব। আলোচনা শেষে একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিতে পারব বলে আশা রাখি।’