ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা যে অংশে ভোট দিচ্ছেন, সেখানে প্রবেশ করেন তিনি।
এ সময় আবিদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কার্ড করেনি। সে কারণে তাকে মেয়েদের হলের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ভোটটা উদযাপন করতে চাই। অভিযোগ করতে চাই না।
ভোটকেন্দ্রে ঢোকার বিষয়ে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি।’
ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, ‘প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। আমি জহুরুল হকের কেন্দ্রে ছিলাম। বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
ডাকসুতে এবার মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন। সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন রয়েছেন।
ভোটার তালিকা অনুযায়ী, এবার মোট ভোট দেবেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।