জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান জানিয়েছেন, জাকসু নির্বাচনের পরিবেশ সামগ্রিকভাবে সুষ্ঠু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, ‘পরিবেশটা প্রত্যাশা অনুযায়ী রয়েছে। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে। আশা করছি, নির্বাচন শেষ পর্যন্ত এভাবেই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত বুথ রাখা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব শিক্ষার্থী নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন, সবাই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
তবে তার কিছুক্ষণ পরই নানা অনিয়ম ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।
এর আগে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে নয়টি অসঙ্গতির অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগরে জাকসু নির্বাচনকে তারা গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের সুযোগ হিসেবে দেখেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা ও বিভিন্ন অনিয়ম তাদের হতাশ করেছে।
তাদের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে বিজয়ী করতে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ‘ফ্যাসিবাদী কায়দায়’ হরণ করছে।
ছাত্রদলের অভিযোগসমূহ:
১. সময়মতো ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
২. প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা দেওয়া হয়েছে।
৩. ভোট গ্রহণ চলাকালে শিবির-সমর্থিত একটি প্যানেল ভোটারদের হাতে লিফলেট বিতরণ করেছে।
৪. বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে জাল ভোট দেওয়া ও ভিপি প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে।
৫. কিছু কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অনিয়মের সুযোগ নেওয়া হয়েছে।
৬. ভোটার সংখ্যার তুলনায় বুথ কম থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হয়েছে।
৭. অধিকাংশ কেন্দ্রে অমোছনীয় কালি ব্যবহার না করায় একাধিকবার ভোট দেওয়ার সুযোগ মিলেছে।
৮. ভোটার তালিকায় প্রার্থীদের ছবি না থাকায় অন্যের হয়ে ভোট দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
৯. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে কার্যকরী সদস্যের ব্যালটে একজনের নাম বাদ পড়েছে।