জাকসু নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব বলে মনে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। এমনকি পেনশনের টাকাও নেবেন না বলে জানিয়েছেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট কারচুপিসংক্রান্ত অভিযোগ তোলা হলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে কয়েক স্তরে তথ্য যাচাই-বাছাই করে ভোটগ্রহণ হয়েছে দাবি করে অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সেখানে একাধিক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিল। পোলিং অফিসার, রিটার্নিং কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ এবং জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হয়েছে। সবার সামনেই ভোট হয়েছে। কেউ আমাকে ভোট কারচুপি কিংবা জালিয়াতির মতো কোনো অভিযোগ করেননি।’
কিছু মানুষের দাবির কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করায় ফল দিতে দেরি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তারাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে জাকসুকে বিতর্কিত করতে চেয়েছেন। যদি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্যের অভিযোগ থাকে, তাহলে ভোটগ্রহণের দিন পদত্যাগ না করে আজ কেন তিনি পদত্যাগ করলেন? নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন করা হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘ভোট গণনার কাজে একাধিক শিক্ষক সম্পৃক্ত। সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই সব হচ্ছে। ভালোমন্দ তারা বিচার করবেন। তবে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, কারচুপি কিংবা জালভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব। কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না।’