রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে তৈরি করা হচ্ছে ১০২টি ইস্পাতের ব্যালট বাক্স। এক সপ্তাহের মধ্যেই এগুলো প্রস্তুত হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ভোট গণনা করা হবে ইলেকট্রনিকস মেশিনের মাধ্যমে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনে ইস্পাতের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে। এজন্য অনেক প্রতিষ্ঠানকে ডেকেছিলাম। কিন্তু স্বল্প সময়ে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারবে না বিধায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ ভাগ করে দিয়েছি। মোট ১০২টি ব্যালট বাক্স করা হবে। প্রতিটি বাক্স করতে আমাদের খরচ হবে তিন হাজার চারশ টাকা করে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ব্যালট পেপার যেহেতু ভাঁজ করা যাবে না, তাই বাক্স যদি স্বচ্ছ হয় তাহলে ভোটাররা কাকে কাকে ভোট দিচ্ছেন, সেটা বাইরে থেকে দেখা যাবে। তাই ইস্পাতের বাক্স করতেছি। আমরা এমন একটি কাজ করে দিয়ে গেলাম, যা বছরের পর বছর কাজে লাগবে বিভিন্ন নির্বাচনে।’
মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদি আর কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে, তাহলে রাকসু ও হল সংসদে মোট ৩২০ জন প্রার্থী থাকবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবে।’
ভোট গণনা প্রসঙ্গে এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোট গণনা অবশ্যই ইলেকট্রনিক মেশিনের মাধ্যমে হবে। অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে কোন হলের ভোট কোন অ্যাকাডেমিক ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ শেষে সব বাক্স একসঙ্গে করে, সবাই মিলে এক জায়গায় গণনা করা হবে। এ জন্য আলাদা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে।’
অন্যদিকে, আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার। এখন পর্যন্ত একজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সুমাইয়া মুস্তারিন মুন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
এদিকে আগামীকাল চূড়ান্ত প্রার্থিতা প্রকাশ করা হবে। সেই দিন থেকেই প্রার্থীরা তাদের প্রচার চালাতে পারবেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৯টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির ছাড়া কোনো ছাত্রসংগঠন বা স্বতন্ত্র প্যানেলই পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করতে পারেনি। কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ভিপি পদে ২০ জন, জিএস পদে ১৪ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ সংশোধিত তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৩ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ১৪ সেপ্টেম্বর; ওইদিনই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একাডেমিক ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা করা হবে।