দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচন আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী এই তথ্য জানিয়েছেন ।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা আশাবাদী শিগগিরই শাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হবে। তবে এর জন্য শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত বা পাঠদানে বিঘ্ন ঘটলে তা সবার জন্য ক্ষতিকর হবে।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি, সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে, যারা প্রশাসনের কাছে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবে এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করবে।’
সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ফাইনালের প্রস্তুতিমূলক ছুটি (পিএল) চলছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য দুই-তিন দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। একই সঙ্গে হল সংসদের গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। পরে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে সর্বশেষ শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে গত ২৮ বছর ধরে শাকসু কার্যক্রম স্থবির রয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডাকসু) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাকসু) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাকসু) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাকসু) নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে শাকসু নির্বাচনের দাবিতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন।