বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১১:০১ পিএম

জাবিতে বাড়ছে চুরি, প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১১:০১ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন হলে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে চুরি। শিক্ষার্থীদের কক্ষ, হলের বেজমেন্টে থেকে শুরু করে বাইরের পার্কিং লট পর্যন্ত কোথাও যেন নিরাপত্তা নেই।

সবশেষ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কাজী নজরুল ইসলাম হলের বেজমেন্ট থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও শিক্ষার্থীদের রুম থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

কাজী নজরুল ইসলাম হলে ঘটে যাওয়া বাইক চুরির বিষয়ে রসায়ন বিভাগের ৫১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুয়িদ জানান, গতকাল হলের রিডিং রুমের পাশেই বাইকটি রেখে যাই। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এসে দেখি বাইকটি নেই। সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাই আমি নিচে নামার কিছুক্ষণ আগেই বাইকটি চুরি হয়েছে। বিষয়টি হল প্রোভোস্ট ও প্রক্টরকে জানাই। পাশাপাশি আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করি।

এর আগে হলের একই স্থান থেকে বেশ কয়েকবার সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে।

আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, আমাদের রুম থেকে মোবাইল, ল্যাপটপসহ কয়েক হাজার টাকা চুরি হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানিয়েছি, কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো সহযোগিতা পাইনি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে একটি সক্রিয় চোরাকারবারি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।  ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক বাড়ছে।

নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলগুলোতে নিরাপত্তাকর্মীর যথেষ্ট সংকট রয়েছে। যতটুকু এলাকা নিরাপত্তা দেওয়ার কথা এর চেয়ে বেশি এরিয়ায় কাজ করতে হচ্ছে। ফলে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

চুরি বিষয়ে এক শিক্ষক বলেন, প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো হলে চুরির ঘটনা ঘটছে। আমার কাছে মনে হয় এসব ঘটনার সঙ্গে হলের নিরাপত্তাকর্মী ও অন্যান্য কর্মচারীদের সম্পর্ক রয়েছে। প্রশাসনের কাছে এসব চোরাকারবারিদের তথ্য জানা থাকলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা দেখা যায় না। এতে চোরেরা আরও উৎসাহ পাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংসদে পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদকে নবনির্বাচিত  প্রতিনিধি তানভীর রহমান বলেন, আমাদের হলগুলোতে সাইকেল ও বাইক রাখার জন্য নিরাপদ স্থান তৈরি করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে এই বাহনগুলো রাখা হয় সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘চুরির ঘটনাগুলো আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। ক্যাম্পাস ও হলে প্রবেশের জন্য শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড সঙ্গে রাখা জন্য বলবো। পাশাপাশি সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। আমরা একটি টিম গঠন করে এরকম সন্দেভাজনদের বের করার চেষ্টা করব। তবে শিক্ষার্থীদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের দাবি, অবিলম্বে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে, সিসিটিভি মনিটরিং বাড়াতে হবে এবং চোরাকারবারি গ্রুপকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে বলে তাদের আশঙ্কা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!