ঢাকা শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের প্রয়াণে ঢাবি উপাচার্যের শোক 

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০১:০০ পিএম
ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। ছবি-সংগৃহীত

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক বাণীতে এই শোক প্রকাশ করেন।

শোকবাণীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনে তিনি (আহমদ রফিক) অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তার এই অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, কবিতা ও প্রবন্ধসহ শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার এসব লেখা নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা জোগাবে।

মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান উপাচার্য।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর)  রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৬ বছর। 

বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, মৃত ঘোষণা করার সাত মিনিট আগে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এর আগে শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় বুধবার বিকেলে আহমদ রফিককে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. কানিজ ফাতেমার তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। কিডনির সমস্যার পাশাপাশি সম্প্রতি কয়েকবার তার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর আহমদ রফিককে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় রোববার তাকে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহমদ রফিক নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরের একটি ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন। ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া এই ভাষাসংগ্রামী ২০০৬ সালে স্ত্রীকে হারান। তিনি নিঃসন্তান।

ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রাবন্ধিক ইতিহাসবিদ এই লেখক শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা পেয়েছেন। দুই বাংলার রবীন্দ্রচর্চায় তার অবদান অনন্য; কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে তাকে দেওয়া হয় ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি।