জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) কর্মচারীদের পদোন্নতির নীতিমালা সিন্ডিকেট সভার এজেন্ডাভুক্ত না করায় কর্মচারীদের পক্ষে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় কর্মচারী সমিতি (জাককানইবি)।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ২:৪০ মিনিট হতে এই কর্মবিরতি কার্যকর করেন কর্মচারীরা। এ সময় তারা একত্রিত প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন।
এর আগে গতকাল সকালে কর্মচারীদের পক্ষে কর্মচারী সমিতি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে এবং তাদের দাবিদাওয়া উপাচার্যের নিকট তুলে ধরে। সেখান হতে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মচারী নীতিমালা সিন্ডিকেট সভার এজেন্ডাভুক্ত করার জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়৷ কিন্তু প্রশাসন হতে আশানুরূপ কোনো উত্তর না পেয়ে, আল্টিমেটাম শেষ হওয়ায় কর্মবিরতিতে যায় কর্মচারীরা।
কর্মচারী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, ‘আজকে শিক্ষার্থী বাস, মেডিকেল সেন্টার ছাড়া সবকিছু কর্মবিরতির আওতায় থাকবে। আগামীকাল হতে শিক্ষার্থী বাস-ও বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র এম্বুলেন্স এবং মেডিকেল সেন্টার চালু থাকবে। তবে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ব্যক্তিগত কর্মবিরতি আওতামুক্ত থাকবে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নৈতিক দাবি আদায়ের জন্য যে এত বড় একটা কর্মসূচি পালন করতে হবে তা আমরা ভাবিনি। আমাদের যে পদোন্নতির নীতিমালা আছে তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে দেনদরবার করে আসছি। আমরা কর্মচারীরা অবহেলিত অবস্থায় আছি, বিগত ফ্যাসিস্ট আমল থেকেই আমাদের প্রতি অনেক অবহেলা করা হয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে, স্মারকলিপি প্রদান করে, আবেদন করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমরা আমাদের কর্মচারী পদোন্নতির নীতিমালাবিষয়ক দাবি জানিয়ে আসছি। প্রশাসন এই দিচ্ছে, এই দিবে, কমিটি গঠন, এভাবে কালক্ষেপণ করে আসছে। বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তো কোনো সুরাহা হয় নাই, এমনকি বিগত দেড় বছরেও কোনো সুরাহা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও আমরা আমাদের দাবিগুলো উপাচার্যের নিকট উপস্থাপন করি যেন সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়টি তোলা হয়। কিন্তু আমরা জানতে পারি সিন্ডিকেট সভায় এটি এজেন্ডাভুক্ত হয়নি। তো আমরা আজকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্যারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। আমরা ১২টা পার হয়ে ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করি। কোনো সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় ২:৪০ মিনিট হতে আমরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিই।’



