রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। তার অভিযোগ, শিবিরকে ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একের পর এক আচরণবিধি জারি করছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে এসে আচমকা ঘোষণা আসে হলের প্রজেকশন মিটিংয়ে বাইরে থেকে কোনো সাউন্ড সিস্টেম বা চেয়ার আনা যাবে না। এমনকি শিক্ষার্থীদের জন্য সৌজন্যমূলক খাবারও দেওয়া যাবে না। অথচ মাসব্যাপী চলা প্রচারণায় এসব বিধিনিষেধের কোনো উল্লেখ ছিল না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের চারটি হলে প্রজেকশন মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচরণবিধির নামে অপ্রত্যাশিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসব আয়োজন বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।’
শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘গতকাল বেগম খালেদা জিয়া হলে বোনেরা নিচে বসে মিটিং করেছেন। যেখানে আয়োজনের কোনো সহায়তা দেয়নি হল প্রশাসন। এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবমাননার শামিল।’
তবে এসব বাধা উপেক্ষা করেও ছাত্রশিবিরের আহ্বানে অসংখ্য শিক্ষার্থী প্রজেকশন মিটিংয়ে অংশ নিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছে এবং নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।’
শিবির নেতা আরও বলেন, ‘আমরা চাই রাকসু নির্বাচন হোক সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচন কমিশনের উচিত নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে প্রতিটি প্যানেলকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন