ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

জকসু নির্বাচনে ভোটার হতে পারবেন না এমফিল-পিএইচডি শিক্ষার্থীরা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে এমফিল, পিএইচডি বা সমমানের কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন না।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা-২০২৫’-এর চূড়ান্ত নীতিমালা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নীতিমালার ধারা ৪(২)(ক) অনুযায়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স—যেমন এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড, পেশাদার বা নির্বাহী বা বিশেষ মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট, ভাষা কোর্সসহ এ ধরনের অন্যান্য প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা জকসুর সদস্য বা ভোটার হতে পারবেন না। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও এই সুযোগের বাইরে থাকবেন।

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর গতকাল (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে জকসুর চূড়ান্ত নীতিমালা অনুমোদিত হয়েছে।

এর আগে ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মোস্তফা হাসানকে আহ্বায়ক ও আনিসুর রহমানকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের জকসু নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে। পরে সেই কমিটিই বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নির্বাচন কমিশন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসুর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, নীতিমালা ও আচরণবিধি প্রণয়ন, তফসিল ঘোষণা, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সংশোধন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, মনোনয়ন জমা ও বাছাই, আপত্তি নিষ্পত্তি, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং প্রচারণাসহ পুরো প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশন তত্ত্বাবধান করবে।

জকসু নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, ‘নীতিমালায় "অধিভুক্তি" বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের প্রতিষ্ঠান বোঝানো হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আইন অনুযায়ী ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘জকসুর নীতিমালা হাতে পেয়েছি, নির্বাচন কমিশনও গঠন হয়েছে। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতেই আমরা এগোচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।