ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ছামির, সম্পাদক মেহেদী

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সাংবাদিক সমিতির (ঢাপইসাস) প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন (২০২৫-২৬) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা ভয়েস ২৪-এর প্রতিনিধি আরমান খান ছামির এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন The Morning Age-এর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান বাপ্পি।

আরমান খান ছামির ২০২২-২৩ সেশনের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী এবং মেহেদী হাসান বাপ্পি ২০২১-২২ সেশনের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে উপদেষ্টা মণ্ডলীর পরামর্শক্রমে এবং সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের সরাসরি ভোটের ভিত্তিতে ২৫-২৬ সেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটি অনুমোদন করেন ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী শাহেলা পারভীন।

৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন: সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পুরকৌশল বিভাগের ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ তামিম আহমেদ (দৈনিক মানবকাল), দপ্তর সম্পাদক পদে কম্পিউটার বিভাগের ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার (তালাশ বিডি); এ ছাড়া কার্যকরী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী তাহসিন আহমেদ (লিডিং নিউজ)।

সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা উপাধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান সাংবাদিক সমিতির দায়িত্বশীলতা, নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে ইনস্টিটিউটের ভাবমূর্তি তুলে ধরার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানান।

নবনির্বাচিত সভাপতি আরমান খান ছামির বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে একটি সাংবাদিক সংগঠন প্রত্যাশা করছিল। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে, তাদের যৌক্তিক দাবিদাওয়া প্রশাসনের নজরে আনার উদ্দেশ্যে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সাংবাদিক সমিতি যাত্রা শুরু করেছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের একতাবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে অনিয়ম ও দুর্নীতি কমবে এবং প্রশাসন আরও সচেতন হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ডিপিআইকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।’

সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাপ্পি বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম। একটি প্রতিষ্ঠানের ভালো-খারাপ, সত্য-মিথ্যা ও প্রয়োজনীয়তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো হয়। যেখানে গণমাধ্যমের উপস্থিতি নেই, সেই প্রতিষ্ঠানকে অন্ধকারে রাখা হয় এবং সংশ্লিষ্টরা অবহেলিত থাকে। ঢাপইসাস সর্বদা শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে স্বচ্ছ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর।