ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

ইবিতে শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ'র রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (২০ জুলাই) সকাল সোয়া ১১টায় ভিসি অফিসের সভাকক্ষে ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

এ সময় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যের শুরুতে ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহকে মেধাবী-সজ্জন-সংস্কৃতিমনা উল্লেখ করে বলেন, ‘তার মৃত্যুতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক চলছে।’

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো গাফিলতি নেই। ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত), প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা সহ সকলেই দিন-রাত আন্তরিকতার সঙ্গে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা সাজিদ আব্দুল্লাহকে হারিয়েছি।

সাজিদের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল জানিয়ে প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, ‘নিরাপত্তার প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের মনে যেন দ্বিধা তৈরি না হয় সেজন্য আমরা সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছি।’

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক উল্লেখ করে দাবিগুলো পূরণে তাদেরকে ধৈর্যধারণের আহ্বান জানান তিনি।

উপ-উপাচার্য জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। একজন হাউস টিউটর এবং একজন সহকারি প্রক্টর প্রতিরাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করা, শান্তিপূর্ণভাবে চলা এবং উন্নয়নের পথে নেয়ার কাজটি শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং শিক্ষার্থী সহ সবার আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আর্থিক ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈন্যতা নেই। তবে কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে না-জানতে পারার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল সেখানে কিছুটা ঘাটতি রয়ে গেছে। জ্ঞানত কোন টাকার অপব্যবহার হচ্ছে না বলে তিনি সাংবাদিকদের দৃঢ়তার সাথে জানান।

তিনি আরও জানান, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা কুষ্টিয়ায় ফিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শাহীনুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যেই সার্চলাইট এবং স্ট্রিট লাইট স্থাপনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে।