ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

জাতীয়করণের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০২:১০ পিএম
কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয়করণের দাবিতে আবারও রাজপথে নামছেন দেশের বেসরকারি শিক্ষকরা। আগামী বুধবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীতে এক ঐতিহাসিক গণসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা। আয়োজক সংগঠন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট বলছে, এবারের আন্দোলন হবে সংগঠিত, সুপরিকল্পিত এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের একটি মাইলফলক।

সমাবেশ সফল করতে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে অন্তত একটি বাস রিজার্ভ করে শিক্ষক আনার প্রস্তুতি চলছে। তবে অনেক উপজেলা থেকেই ৯-১০টি বাস করে ঢাকামুখী হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষকের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

সমাবেশ পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে বিভাগীয়ভাবে আটজন করে সমন্বয়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও সমন্বয়করা কাজ করছেন। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য প্রায় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক মাঠে থাকবেন।

এ বিষয়ে জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে। শিক্ষকরা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন। এবারের সমাবেশ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। যারা আগে নিজেদের স্বার্থে শিক্ষকদের ব্যবহার করেছেন, তারা এবার মুখোশহীন হবেন।

২০১৮ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ২০ দিনের অবস্থান ও অনশনের পর সরকার ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা বাস্তবায়ন করে। পাশাপাশি শিক্ষা জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

বর্তমান সরকারের অন্তর্বর্তী শিক্ষা উপদেষ্টা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ বাজেটে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দিলেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এসব বিষয়ে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।

এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষকরা আবারও রাজপথে নামছেন। ১৩ আগস্টের সমাবেশে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি পূরণে স্পষ্ট ঘোষণা না এলে পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, বেসরকারি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার। আমরা সংঘাত চাই না। তবে দাবি মানা না হলে ক্লাস বর্জনসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।