ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

১৯তম শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাব্য সময়

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি চলতি বছরে প্রকাশিত হতে পারে। একই সঙ্গে নিয়মানুযায়ী পরীক্ষার নম্বর বিন্যাস, সিলেবাসসহ অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত হওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, পরীক্ষা পদ্ধতি, নম্বরবিন্যাস, সিলেবাসের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এনটিআরসিএর বোর্ড সভা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে। এর আগে ১৯তম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। এ জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পরীক্ষা পদ্ধতি, নম্বর বিন্যাসসহ অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত হওয়ার পর নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে। পরীক্ষার যাবতীয় বিষয় নির্দিষ্ট করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। তবে এটি একেবারেই প্রাথমিক একটি ধারণা। বিধিমালা চূড়ান্ত হলে তখন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চূড়ান্ত সময় জানানো যাবে।’

এর আগে, আসন্ন ১৯তম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরীক্ষা থেকে লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পরিবর্তে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিশেষ বিসিএসের আদলে হবে শিক্ষক নিয়োগ। এর জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এনটিআরসিএ'র চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সংশোধিত বিধিটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য আছে। সেখান থেকে এলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা জারি করবে। এই বিধি জারি হলে পিএসসির আদলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। যত শূন্যপদ তত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীদেরও নিবন্ধন পাস করে আর বসে থাকতে হবে না।’

পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন শিক্ষক নিবন্ধনে যেভাবে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়, সেভাবে আর হবে না। অনেকটা বিশেষ বিসিএসের মতো হবে। দেখা গেল, ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কিছুটা এমসিকিউ, আবার কিছুটা লিখিত থাকছে। আর সবশেষে ভাইভা, যা প্রার্থীদের জন্যও সহজ হবে। যখন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে তখন থেকেই বয়স গণনা করা হবে। এতে আর বয়সের বাধাও থাকবে না। আগামী ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের পরিবর্তে নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।’