ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচি শুরু করেছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কর্মসূচিতে অংশ নেন। দাবি আদায়ে আগামী মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিরও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শিক্ষক-কর্মচারীরা দাবি করছেন, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার পাশাপাশি চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৫০০ টাকা করা হোক, উৎসবভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা হোক।
জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘দাবি আদায়ে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এদিন থেকে দাবি বাস্তবায়নের প্রজ্ঞাপন না জারি হলে আমাদের অবস্থান ও কর্মবিরতি চলবে।’
নওগাঁ থেকে আসা শিক্ষক অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সারা রাত বাসে করে এসে সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছি। সারা দেশ থেকে শিক্ষকরা এসেছেন। বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার ঘোষণা না দিলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। তবে ৫ অক্টোবর এই ঘোষণা প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন।
এরপর ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়, যাতে বাড়িভাড়া ভাতা অন্তত ২-৩ হাজার টাকা করা হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পান, যা পরে ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, আগের বছর তারা বছরে দুইবার ২৫ শতাংশ হারে উৎসবভাতা পেতেন; গত মে মাসে তা বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
