রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শর্তসাপেক্ষে’ পোষ্যকোটা পুনর্বহাল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ বর্ষের ভর্তি উপ-কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা ৪৫ মিনিটে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
এদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি মেনে নেওয়ায় তারা কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এক শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ এই সুবিধায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ নম্বর পেতে হবে।
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে আমাদের দাবির বিষয়ে কিছুটা বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হচ্ছে, আমরা রাকসুকে কোনো চাপে ফেলতে চাই না। এই বিষয়টি বিবেচনা করে আজ রাতে একটি সভা করে কর্মসূচি প্রত্যাহার করব।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘আজকে ভর্তি উপ-কমিটির একটি সভা ছিল। সভায় ২০২৪-২৫ বর্ষের ভর্তিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের শর্তসাপেক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এত বিচলিত হওয়ার কিছু নেই, তাদের ভর্তি কার্যক্রম নির্দিষ্ট শর্ত মেনেই করা হবে।’
এদিকে পোষ্যকোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বিক্ষোভ মিছিলে ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ সময় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ বলেন, নির্লজ্জ প্রশাসন পোষ্যকোটা ফিরিয়ে এনেছে। আমরা এখানে রাকসু বানচালের ইঙ্গিত লক্ষ করছি। এখন আমরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি।’