বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক খান। প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি একজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্ট, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। তবে কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদটি রাখা হয়নি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির ২০২৫-২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল।
সংগঠনটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্সের রণজিত ঘোষ, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আপন ডায়মন্ড হাউসের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউস লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্সের অমিত ঘোষ।
পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন: মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগারওয়াল, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবলু দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিজানুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহম্মেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ ও পলাশ কুমার সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা ২০২৫-এর ২৪(১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজুসের নব নির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, ‘বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর তার দক্ষতা ও নিষ্ঠা দিয়ে দেশ-বিদেশে বাজুসের পরিচিতি ঘটিয়েছেন। বাজুসের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তার চেষ্টায় বাজুস আজ প্রায় ৪০ হাজার সদস্যের পরিবার। বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এত কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। যত দিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, তত দিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসত, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
বাজুসের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট গুলজার আহমেদ বলেন, জুয়েলারিশিল্পের উন্নয়নের জন্য বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর ব্যবসায়ীদের জুয়েলারি ফ্যাক্টরি করার কথা বলে আসছেন। এই ধারাবাহিকায় বাংলাদেশে এখন অনেক জুয়েলারি ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে বাজুস সুসংগঠিত ও সর্ববৃহৎ সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে।


