ঢাকা শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

উপাচার্যের আশ্বাসে রাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম
প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামসহ তিনি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আশ্বাসের পর অবশেষে নিজেদের কর্মসূচি স্থগিত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। টানা পাঁচ দিনের কর্মবিরতির পর বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানায় সংগঠনটি।

তবে এই প্রত্যাহারকে ‘আপাতত স্থগিত’ বলে উল্লেখ করে ফোরাম জানিয়েছে, দ্রুততম সময়ে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে আবারও আন্দোলনে ফিরবেন তারা।

পরে ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে প্রেস ব্রিফিং করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামসহ তিনি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেখানে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম।

ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপাচার্যের আহ্বানে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃত্বে জিয়া পরিষদ এবং ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) রাবি শাখার শিক্ষকরা অংশ নেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ‘উপাচার্য মহোদয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন যে, গত ২০-০৯-২০২৫ তারিখের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে দ্রুততম সময়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে চলমান কর্মসূচি আগামীকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

তবে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফোরাম জানায়, ‘যদি দ্রুততম সময়ে দোষীদের শাস্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা, শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না করা হয়, সে ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম সাধারণ শিক্ষকদের নিয়ে স্থগিতকৃত কর্মসূচি পুনরায় গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।’

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, ‘রাকসুর কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে আপাতত আমাদের কর্মসূচিকে স্থগিত করছি। তবে দ্রুততম সময়ে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, তা দেখে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।’

এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বরের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগে জড়িতদের শাস্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে একযোগে কর্মবিরতি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

গতকাল বুধবার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। অবশেষে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর তারাও আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলেন।