শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনের কারিগররা এখন কোথায়

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম

ভোটকেন্দ্র।        ছবি- সংগৃহীত

ভোটকেন্দ্র। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশের সর্বশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচন-২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সাল। এই তিন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক, অভিযোগ আর সমালোচনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ তিনটি নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের পথ তৈরি হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের ভিত্তি গড়ে ওঠে।

এই নির্বাচনের কারিগর হিসেবে যাদের নাম উঠে আসে, তারা হলেন তৎকালীন তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার-কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কেএম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল-এবং তাদের নেতৃত্বাধীন কমিশনাররা।

৫ আগস্টের পর বিতর্কিত তিন নির্বাচন কমিশনের সাবেক সিইসি ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও কেউ এখনো গ্রেফতার হননি। তাদের অবস্থান নিয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন নিজের উদ্যোগে এখনো কোনো তদন্ত বা অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেনি।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, এখন পর্যন্ত সরকারের কোনো বিভাগ বা সংস্থা নির্বাচন সংক্রান্ত নথিপত্রও চায়নি।

কে কোথায়

সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার বারিধারায় নিজ বাসায় রয়েছেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের 'রাতের ভোটের' সিইসি কেএম নূরুল হুদা উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের বাসায় আছেন। বই লিখে সময় কাটাচ্ছেন।

সর্বশেষ, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ ফ্ল্যাটে প্রায় নিভৃতবাসে দিন কাটাচ্ছেন।

তিন কমিশনের বেশির ভাগ সাবেক কমিশনার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছেন। এদের মধ্যে কবিতা খানম বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। সাবেক কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকায় কলাবাগানে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান উত্তরায় আছেন।

মোহাম্মদ মোবারক চট্টগ্রামে ক্যানসার আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী মিরপুর ডিওএইচএসে এবং মো. শাহনেওয়াজ আজিমপুর সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করছেন।

তিনটি নির্বাচনের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন সাবেক কমিশনার মাহবুব তালুকদার, যিনি অনিয়মের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ছিলেন। তিনি ২০২২ সালে মারা যান।

নির্বাচনের অনিয়মের ফিরিস্তি

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ বিরোধী দল বর্জন করে। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হন। ভোটারবিহীন এ নির্বাচন পরিচালনা করেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের আগের রাতেই ব্যালটে সিল মারা হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয়ী হয়। তৎকালীন সিইসি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন অনিয়মের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বরং তা আড়াল করেছিল।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে দলের 'স্বতন্ত্র' প্রার্থীদের মধ্যেই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ভোটার উপস্থিতির হার নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ভোটের দিন ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য দিলেও পরে তা ৪০ শতাংশ বলে ঘোষণা করা হয়।

এ নির্বাচন শেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ও কমিশনাররা পদত্যাগ করেন।

তদন্তের গতি নেই

সরকার কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন নিজ থেকে কোনো নথি বা তথ্য প্রকাশ করেনি। সাবেক কমিশনারদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনগুলো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এসবের মূল সহায়তাকারী ছিলেন তৎকালীন তিন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!