শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ১০:০৭ পিএম

মানুষের জায়গা কখনোই নেবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : শঙ্কর মহাদেবন

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ১০:০৭ পিএম

সুরকার-গায়ক শঙ্কর মহাদেবন। ছবি- সংগৃহীত

সুরকার-গায়ক শঙ্কর মহাদেবন। ছবি- সংগৃহীত

গ্র্যামি জয়ী সুরকার-গায়ক শঙ্কর মহাদেবন এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সঙ্গে নিয়ে তৈরি করলেন এক অভিনব গান ‘রুবরু’। তবে প্রযুক্তির এই নব সংযোজনের মধ্যেও তার স্পষ্ট বার্তা- ‘মানুষের জায়গা কখনোই নেবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’।

মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে বসে ইউটিউব ও গুগল ল্যাবের সঙ্গে মিলিতভাবে স্যান্ডবক্স নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল ব্যবহার করে গানটি তৈরি করেছেন তিনি। এর উন্মোচন হয়েছে গত ২০মে অনুষ্ঠিত গুগলের বার্ষিক আই/ও ডেভেলপার সম্মেলনে, ক্যালিফোর্নিয়ায়।

গুগল আই/ও ডেভেলপার কনফারেন্স ২০২৫। ছবি - সংগৃহীত

একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শঙ্কর বলেন, ‘একটা সুন্দর সুফি সুরের সঙ্গে আধুনিক সাউন্ডস্কেপ মিশিয়ে আমরা একটা দারুণ গান বানাতে পেরেছি। একজন সংগীতশিল্পীর জন্য এটা ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ক একটি টুল।’ 

গ্র্যামি পুরষ্কার হাতে শঙ্কর মহাদেবন। ছবি - সংগৃহীত

তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সৃষ্টির চূড়ান্ত হাতিয়ার নয়, বরং সহকারী হিসেবেই দেখছেন তিনি। তার কথায়, ‘এখন প্রযুক্তিকে উন্নত করার উপায় হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কিন্তু সেটা মানুষকে বদলাতে পারবে না। অনেকে ভাবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিল্পী বা গায়কদের জায়গা নেবে। কিন্তু এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মানুষের মেধা আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একসঙ্গে কাজ করলে অসাধারণ কিছু সৃষ্টি হতে পারে- শুধু একে দায়িত্ব নিয়ে এবং বুদ্ধিমানের মতো ব্যবহার করতে হবে।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ‘বন্ধু ও ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে বর্ণনা করে শঙ্কর জানান, এই প্রযুক্তি নিজে থেকে কিছু তৈরি করে না, বরং প্রস্তাব করে একটা লাইন, একটা সুর, যার ওপর ভিত্তি করে শিল্পী নিজের মত করে কাজ এগিয়ে নেন। 

‘কিছু কিছু জিনিস ছিল অসাধারণ, একেবারে অন্য জগতের মতো, আবার কিছু ছিল একেবারে অপেশাদার এবং সাধারণ। ও কাজের প্রস্তাব দিতে পারে, কিন্তু শুরু থেকে শেষ সিদ্ধান্তটা নিতে হবে একজন মানুষকেই! যেই জায়গাটায় আসল কাজ হয়, সেটা হলো শিল্পীর মেধা- আর সেটা থাকলেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগবে।’

সংগীত জগতে প্রযুক্তির আগমনে ভয় নতুন নয় বলেই মনে করেন শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘৫০ বছর আগে যখন সিন্থেসাইজার এলো, অথবা যখন সফটওয়্যারে সঙ্গীত প্রোগ্রামিং শুরু হলো, তখনও একই ভয় ছিল। কিন্তু আমরা (মানুষ) আজও অপ্রতিস্থাপনীয়।’

তার মন্তব্য, ‘এই পরিবর্তন শুধু সঙ্গীত নয়, সব ক্ষেত্রেই হচ্ছে। আমরা এরই মধ্যে কাজে ব্যবহার শুরু করেছি। এটা একটা টুল মাত্র। ৫০ বছর আগেও শিল্পীরা ভাবতেন, আমরা কি থাকব? কিন্তু পরে বুঝেছি- জীবন্ত শিল্পীকে কেউ বদলাতে পারে না। তখন যেমন কিছুই হয়নি, এবারও তেমন কিছু হবে না।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!