নিজের জন্মদিনে এবারও ছেলের কাছ থেকে সেই কাঙ্ক্ষিত ডাক পেলেন না সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। ছেলের মুখে যেদিন ‘বাবা’ শুনবেন সে দিনটিই তার জন্য বিশেষ হবে বলে মনে করেন তিনি
১ জুন কুমার বিশ্বজিৎ-র জন্মদিন, তবে আনন্দের বদলে কানাডার মিসিসাগার একটি রিহ্যাব সেন্টারের পথে ছুটছিলেন তিনি। দেখতে যাচ্ছিলেন একমাত্র ছেলে কুমার নিবিড়কে, যিনি দীর্ঘ দুই বছর ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন।
ছেলের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকে জীবন থমকে গেছে বলেই মনে করেন কুমার বিশ্বজিৎ। তার ভাষায়, জন্মদিন, উৎসব কিংবা বিশেষ দিন- সবই এখন তার কাছে ফিকে।
একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নিবিড় যেদিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে, আমাকে “বাবা” বলে ডাকবে, সেদিনই আমার জন্মদিন।’
জন্মদিনে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীর শুভেচ্ছা পেয়েছেন তিনি, ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে ভেসে আসা বার্তাগুলোর দিকে তাকালেও মনের ভার হালকা হয় না।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে আলাদাভাবে ধন্যবাদ জানানোর মতো অবস্থায় নেই। সবার ভালোবাসা মাথায় তুলে রাখি, এবারও তাই।’
ছেলের অসুস্থতা নিয়ে তিনি জানান, ‘দুই বছর ধরে ও শয্যাশায়ী। কথা বলতে পারে না, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে প্রতিমুহূর্তে অপেক্ষা করি, এই বুঝি ‘বাবা’ বলে ডাকল।’
শৈশবে জন্মদিন ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় দিন। উপহার চাইতেন বাদ্যযন্ত্র, বায়না ধরতেন টেপ রেকর্ডার, ড্রামস বা গিটারের।
একবার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় পাওয়া একটি টেপ রেকর্ডারই বদলে দিয়েছিল তার সংগীতজীবন। তিনি বলেন, ‘এই টেপ রেকর্ডারই আমার ভুল ধরার জন্য শিক্ষকের মতো ছিল।’
আজ সংগীতজীবনের চার দশক পার করে আসা এই শিল্পীর কণ্ঠে শোনা গেল শুধু একটাই কামনা ছেলের সুস্থতা আর তার মুখে সেই বহুল প্রতীক্ষিত শব্দ- ‘বাবা’।
আপনার মতামত লিখুন :