লাক্স তারকা হয়ে ক্যামেরার সামনে প্রথম পা রাখার পর থেকেই মুমতাহিনা চৌধুরী টয়ার আলো ছড়ানো শুরু। এক যুগ পেরিয়ে এসেছেন শোবিজের রঙিন ভুবনে, কিন্তু তার সেই হাসিটা আজও একইরকম—প্রাণখোলা!
২০১০ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় পঞ্চম হয়ে যাত্রা শুরু—এরপর থেকেই নাটক, টেলিফিল্ম, বিজ্ঞাপন আর মিউজিক ভিডিও মিলিয়ে টয়ার ব্যস্ততা শুধু বেড়েছেই।
অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় রুমানা রশীদ ঈশিতা পরিচালিত ‘অদেখা মেঘের কাব্য’ নাটকে। তারপর একে একে ছোটপর্দায় পায়ের নিচে জমি শক্ত করেন তিনি।
‘নাইন অ্যান্ড হাফ’ নাটকের অথই কিংবা ‘বেঙ্গলি বিউটি’ সিনেমার ময়না—সবখানেই দর্শক পেয়েছে এক উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত টয়াকে।
তবে সম্প্রতি যেন রুপালি পর্দা থেকে কিছুটা দূরেই ছিলেন এই অভিনেত্রী। অনেক দিন পর আবারও খবরে আসলেন, তবে সেটা অভিনয়ের জন্য নয়, ভ্রমণের জন্য! ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, কী দারুণভাবে সময় কাটাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার আহানগামা সৈকতে!
ছবিতে খোশমেজাজে দেখা মিলছে টয়ার—কখনো বালিতে হেঁটে বেড়ানো, কখনো সৈকতের পাশে বসে ঝিরিঝিরে বাতাস উপভোগ!
ছবির ক্যাপশনে টয়া নিজের মতো করে লিখেছেন, ‘ফ্রম ক্যাসেল টু কুল’। আর তাতেই যেন ভক্তদের হৃদয় গলে গেল!
সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি রিয়্যাকশন, অসংখ্য মন্তব্যে ছেয়ে গেছে তার প্রোফাইল। কেউ লিখেছেন, ‘ভালোবাসা অবিরাম’, কেউ আবার মন্তব্য করেছেন, ‘খুব সুন্দর লাগছে!’
তবে গুঞ্জন আছে, এই নিরিবিলি সৈকত-বিলাসের পেছনেও রয়েছে নতুন কোনো নাটক কিংবা ওয়েব কনটেন্টের প্রস্তুতি।
একাধিক প্রজেক্ট নিয়ে কথা চলছে, এমনটাই জানা গেছে ঘনিষ্ঠ সূত্রে। অর্থাৎ সৈকতের বিশ্রাম শেষ হতেই পারে নতুন কোনো কাজের আলোয় টয়ার পর্দায় ফেরার ঢেউ উঠতে!
ভক্তরা ইতোমধ্যেই অপেক্ষায়, কখন আবার দেখা যাবে তাকে নতুন কোনো চরিত্রে, নতুন কোনো রূপে। আপাতত সৈকতের উষ্ণতা উপভোগ করলেও ক্যামেরার আলো থেকে যে টয়া খুব বেশিদিন দূরে থাকছেন না, সেটা বোঝাই যাচ্ছে!
আপনার মতামত লিখুন :