অবশেষে জীবন যুদ্ধে হেরেই গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম নিমেরি উপল।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩। তিনি স্বামী এবং ৪ সন্তান রেখে গেছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ফরিদা পারভীন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মাঝে গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেলে গত ৫ জুলাই রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। মাঝে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে বাসায় ফিরেন। তবে ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সম্প্রতি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি চলে যান না–ফেরার দেশে।
সংগীতজীবনে দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও ফরিদা পারভীন সবচেয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন লালনসংগীতে।
১৯৮৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। এ ছাড়াও জাপান সরকার তাকে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদকে সম্মানিত করে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন