মুম্বাইয়ের মারাঠি ঘরের মেয়ে ম্রুণাল ঠাকুর। বলিউডে পা রেখেছেন বছর দশেক আগে, কিন্তু খোলামেলা দৃশ্য নিয়ে তার ‘না’ বলার সিদ্ধান্ত এখনও টাটকা গসিপের খোরাক! জন্মদিনে এসে গুঞ্জনের গরম তেলটা যেন আরও জ্বলে উঠেছে।
একটি সাক্ষাৎকারে ফেঁসে গেছেন নিজেই। সোজাসাপ্টা স্বীকার করে ফেলেছেন, ‘পরিবারের আপত্তি ছিল, আমিও রাজি ছিলাম না। কিন্তু একটা সময় নিজেকেই প্রশ্ন করলাম, আর কত দিন না বলব?’
কিন্তু ম্রুণালের এই দ্বিধা-দোলাচল বেশ কড়ায় গণ্ডায় খেসারতও দিয়েছে। অন্তরঙ্গ দৃশ্যে ‘না’ মানেই প্রোজেক্ট থেকে ছেঁটে ফেলার শাস্তি! যদিও কোন সিনেমা থেকে বাদ পড়েছেন, তা নিয়ে মুখে কুলুপ।
একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, দক্ষিণের এক বিখ্যাত পরিচালক নাকি তাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু স্ক্রিপ্টে ছিল দু-একটা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। ম্রুণাল তখনও সেই পুরোনো রাস্তাতেই হাঁটেন-‘না’।
আর পরিচালক? সঙ্গে সঙ্গে বদলে ফেলেন অভিনেত্রী! পর্দার আড়ালে এই সব সিদ্ধান্ত যেমন হয়, সেটাও নাকি হয়েছিল মুহূর্তেই।
আরেক সূত্র ফিসফিস করে বলছে, হালের এক সুপারহিট সিনেমা থেকেও তাকে শেষ মুহূর্তে বাদ দেওয়া হয় শুধু এই কারণে। সিনেমাটা পরবর্তীতে যে অভিনেত্রীর কেরিয়ার উড়িয়েই দিয়েছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না!
তবে ম্রুণালের এই জোরালো ‘না’ বলার সাহসও বলিউডে কম নয়। কিন্তু গসিপ গলিতে ফিসফাস-এখন নাকি তিনি নিজের সিদ্ধান্তে কিছুটা দুর্বল! কারণ বারবার স্ক্রিন-স্পেস হারানো, আর অন্য নায়িকাদের উত্থান তার মনেও একটু হলেও প্রশ্ন তুলেছে-‘আর কত দিন না বলব?’
এদিকে ‘সন অব সরদার ২’-এ কমেডির ছলে একেবারে ‘পাঞ্জাবি পটাকা’ রূপে দেখা গেছে ম্রুণালকে। কড়া মেকওভার, উড়ন্ত সংলাপ, হাস্যরসে ভরপুর চরিত্র-সব মিলিয়ে এই সিনেমায় নিজেকে ভেঙে গড়েছেন তিনি। মজার ব্যাপার, ম্রুণাল বলেন, ‘কমেডি করার জন্য একেবারে নতুন করে শেখা শুরু করেছিলাম।’
তবে গসিপপ্রেমীদের চোখ এখন অন্য জায়গায়-পরবর্তী পাঁচটি সিনেমার কোনো একটায় কি অবশেষে সিদ্ধান্ত বদলাবেন ম্রুণাল? পুরোনো ‘না’ কি নতুন ‘হয়তো’-তে বদলাবে?
গুঞ্জন বলে, কয়েকটি হিন্দি প্রজেক্টের চিত্রনাট্যে নাকি এমন দৃশ্য রয়েছে যেগুলো নিয়ে প্রযোজকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন তিনি। কেউ কেউ তো বাজিও ধরে বসে আছেন-ম্রুণাল এবার আর ‘না’ বলবেন না!
গসিপের গন্ধটা মিঠে হলেও কামড়টা তীব্র-কারণ বলিউডে ‘না’ বললে সিনেমা বলে ‘আলবিদা’!
আপনার মতামত লিখুন :