ক্যারিয়ারে যখন সু-বাতাস বইছে, ঠিক তখনই শুটিং সেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। একটি নাটকের শুটিং করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন অগ্নিদগ্ধ সেই শারমিন আঁখি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শারমিন আঁখি লিখেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ বাচ্চাদের কাছে যত কম ভিজিটর যাওয়া যায়, ততই মঙ্গল। প্রচুর ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকবে এই সময়টা। আগুনে পোড়ার পরবর্তী এফেক্ট হচ্ছে ইনফেকশন। চিকিৎসাধীন বাচ্চাগুলোকে বাঁচাতে চাইলে প্লিজ আবেগের বশবর্তী হয়ে এই মুহূর্তে তাদের দেখতে যাবেন না। আমাদের চামড়া জার্ম প্রটেক্ট করে। যেখানে চামড়ায় নেই, সেখানে প্রটেকশন একদম ০ লেভেলে। ইনফেকশনের কারণে বেশিরভাগ রোগী মারা যায়। পোড়ায় মরে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চামড়ার পোড়ার কষ্টের সাথে অন্য কোনও যন্ত্রণার তুলনা করবেন না। উপরেরটা পোড়ায়, ভেতরটাও পোড়ায়। ড্রেসিংয়ের যন্ত্রণা আরও অসহ্যকর। নতুন চামড়া আসলেই সেই চামড়া ঘষে আবার উঠানো হয়। ট্রমা শুরু হবে আর দশ দিন পরে। এখন প্রতিটা বাচ্চা অনুভূতিশূন্য।’
শারমিন আঁখি বলেন, ‘এই মুহূর্তে একমাত্র ডাক্তার ছাড়া ওদের আশপাশে যত কম যাওয়া যায়, ততই ভালো। বাসায় ফেরার পর প্রত্যেকটা বাচ্চার মনোসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। আমি তিন মাস মনোসামাজিক চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছিলাম। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতাটা অনেক জরুরি।’
বলা দরকার, ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ে শারমিন আঁখি আহত হয়েছিলেন। দীর্ঘ দুই মাস চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফিরেছেন। বর্তমানে এই অভিনেত্রী চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে আছেন। মাঝে মাঝে তাকে কাজে পাওয়া যায়।