শোবিজ অঙ্গনের ব্যস্ত নায়িকা আজমেরী হক বাঁধন আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি প্রকাশ করে আলোচনার ঝড় তুলেছেন তিনি। ছবিটিতে দুজনের মুখে হাসি, আর সেই হাসি নিয়েই বাঁধনের খোলামেলা স্বীকারোক্তি।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “ওই সময় আমি মজা করে তাকে বলেছিলাম, অনেকে ভাবছে আমরা নাকি আগে থেকে ঠিক করে একই রঙের পোশাক পরেছি।’ তিনি তখন হেসেছিলেন। সেই হাসিটা তখন আমার কাছে সত্যি মনে হয়েছিল। সেই মুহূর্তে তিনি আমাদেরই একজন বলে মনে হয়েছিল।”
একসময় শেখ হাসিনাকে ভালোবেসেছিলেন জানাতে গিয়ে বাঁধন লিখেছেন, ‘তার গল্প আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। পুরো পরিবার হারিয়ে, শরণার্থী হয়ে জীবন কাটিয়ে আবার ফিরে এসেছিলেন নিজের দেশে। কিন্তু সময়ের সাথে আমি দেখেছি, ক্ষমতা মানুষকে শয়তানেও পরিণত করতে পারে।’
শুধু স্মৃতিচারণ নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে চলা সমালোচনারও জবাব দিয়েছেন বাঁধন। তার ভাষায়, ‘শুধু তার সঙ্গে হাসলাম মানে এই নয় যে, আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে আছি! তাহলে আমার সহকর্মী আওয়ামী লীগ নেতারা এত ভয় পাচ্ছেন কেন?’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি কথা বলি, মানুষের কথা বলি। ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের জিজ্ঞেস করুন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তারা আমাকে কী প্রস্তাব দিয়েছিল।’
একই সঙ্গে সমালোচকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি, ‘আমাকে যেভাবে আক্রমণ করেছেন, দেশের নারীদের সঙ্গেও আপনারা ঠিক এভাবেই আচরণ করেন। যান, চালিয়ে যান এইসব বাজে কথা! কিন্তু আমাকে আক্রমণ করা ছাড়া আপনাদের আর কোনো কাজ নেই? নাকি ঠিক করেছেন, যে সবচেয়ে খারাপ মানুষ, তাকেই আপনারা সংসদ সদস্য বানাবেন?’
রাজনীতি নিয়ে একের পর এক খোলামেলা মন্তব্যে বাঁধন যেন হয়ে উঠেছেন নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। ভক্তরা তার সাহসিকতা ও দৃঢ়চেতা মানসিকতার প্রশংসা করছেন, অন্যদিকে বিরোধীরা এখনও তার স্ট্যাটাস নিয়েই ব্যস্ত।