জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে ঘিরে আবারও উঠেছে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। গত মাসে অনলাইনভিত্তিক দুইটি ফ্যাশন হাউজের অভিযোগের পর এবার ভারতীয় সিনেমা ‘ভালোবাসার মরশুম’–এর প্রযোজক শরীফ খান তার বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন।
প্রযোজকের দাবি, এম. এন. রাজ পরিচালিত এ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তানজিন তিশা। কিন্তু তার অসহযোগিতা, সময়মতো শিডিউল না দেওয়া ও ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার কারণে তাকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়ার পর তিনি অগ্রিম নেওয়া অর্থ ফেরত দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন প্রযোজক।
তিনি জানান, তিশাকে প্রথমে ৩০ হাজার রুপি এবং পরে তিশার বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছিল।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তানজিন তিশা গণমাধ্যমকে বলেন, এই অভিযোগ ফালতু। চুক্তির সময় আমাকে এক-তৃতীয়াংশ পেমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। ভিসার অপেক্ষায় দেড় মাস কোনো কাজ করিনি। চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা ছিল-শুটিং বাতিল হলে এই টাকা ফেরত যাবে না।
তিনি আরও বলেন, শরীফ নামে একজন মধ্যরাতে আমাকে ফোন করে কথা বলতে চেয়েছে। এত রাতে কেন কথা বলব? এটা তো পেশাদার আচরণ নয়। আমি দিনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। আর উনি এই সিনেমার প্রযোজকও নন। বাকি বিষয়ে আমার আইনজীবী বলবেন।
তিশার আইনজীবী জসীম উদ্দিন বলেন, তানজিন তিশা চুক্তি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন। শিডিউল দিয়েছেন এবং ভ্রমণসহ শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু পরিচালক ভিসা ও শুটিংয়ের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে ডিরেক্টরের ডিফল্ট স্পষ্ট। তিশার কোনো আর্টিস্ট ডিফল্ট হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ভিসা বিলম্ব ও শিডিউল বাস্তবায়ন না হওয়ায় তিশাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এর আগেও তানজিন তিশার বিরুদ্ধে অনলাইনভিত্তিক দুই ফ্যাশন হাউজ পণ্যের প্রচারণায় অর্থ নিয়ে কাজ না করার অভিযোগ তোলে। নতুন অভিযোগ সামনে আসায় বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।
-20251114182631.webp)

