বেশিদিন আগের কথা নয়, হাংঝু শহরের অফিস চত্বরে ঘুরে বেড়াতেন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের এক তরুণী। স্মার্ট, কর্মঠ, সুন্দরী। নাম তার সাইকা সুবহা তান্নু।
চীনে মায়ের সঙ্গে থাকতেন, করতেন চাকরি। কিন্তু মন পড়ে ছিল আরেকখানে। নাহ, চায়নিজ চাউমিন নয়, তান্নুর মন টানছিল কন্টেন্টের কারিগর হিরো আলমকে! সেই টানেই সুদূর চীন থেকে ছুটে এলেন বাংলাদেশে।
এদিকে, তৃতীয় স্ত্রী রিয়ামনিকে ডিভোর্স দিয়ে কনটেন্ট ক্যাসিনোর নতুন পার্টনারের খোঁজে ছিলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
এবার তার সেই খোঁজ এসে থামল চীনের এক প্রাক্তন কর্মজীবী তরুণীর কাছে। পাসপোর্ট, ভিসা আর মনের পাতায় হিরো আলম; সব মিলিয়ে তান্নু সোজা চলে এলেন ঢাকায়, হিরো আলমের পাশে দাঁড়াতে।
তান্নু নিজেই জানান, ‘শোবিজের প্রতি টান ছিল বরাবরের। কাজের ফাঁকে ভিডিও বানাতাম, আপলোড করতাম। পরে হিরো আলমের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনিই আমাকে সাহস দেন। এরপরই দেশে ফিরে এলাম।’
তবে ভিসা থাকায় ফিরে যাওয়ার অপশনও খোলা রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি দেখি কিছু হচ্ছে না, চুপিচুপি আবার চায়নায় ফিরে যাব!’
অন্যদিকে, হিরো আলমও একেবারে ‘পপকর্ন মুড’-এ! জানালেন, ‘আমরা চায়না ভাষার গানে একসঙ্গে মিউজিক ভিডিও করেছি। দর্শক তাড়াতাড়ি দেখতে পারবেন। তান্নুর আগ্রহ দেখে ভালো লাগছে। কাজ শুরু করলাম। দেখা যাক কোথায় গিয়ে শেষ হয়!’
তিনি আরও বলেন, ‘চীন থেকে চাকরি ছেড়ে একটা মেয়ে আমার সঙ্গে কাজ করতে এসেছে, এটাই তো অনেক বড় ব্যাপার! এটা তো হিরো না সুপারহিরো হওয়ার মতোই ঘটনা!’
এদিকে, রিয়ামনির কাহিনিও পিছিয়ে নেই। হিরো আলমের পিতার মৃত্যুশয্যায় তাকে পাশে না পেয়ে তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করেন তৃতীয় স্ত্রী রিয়ামনির সঙ্গে।
শোনা যাচ্ছে, সেই সময় রিয়ামনি ব্যস্ত ছিলেন তার পার্টনার ম্যাক্স রবির সঙ্গে প্রেম আর মিউজিক ভিডিওতে। তাই এবার মাঠে নামলেন তান্নু, হিরোর নতুন কনটেন্ট পার্টনার হিসেবে।
ক্যামেরা অন, স্ক্রিপ্ট রেডি। বাংলাদেশি কন্টেন্ট দুনিয়ায় এখন প্রশ্ন একটাই- ক্লাইম্যাক্স কোথায় গিয়ে থামে!