বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

দেয়ালচিত্রে হরিজনদের সাহসের গল্প

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

‘ঘ্রাণ থাকে গন্ধে, বর্ণে নয়’-এ স্লোগান হৃদয়ে ধারণ করে একতার গল্প নিয়ে যাত্রা শুরু ‘দেয়ালচিত্রে হরিজনদের সাহসের গল্প’। এ আয়োজন শুধু প্রকল্প নয়, এটি সাহসী নারীদের কণ্ঠস্বর, প্রতিবাদের ভাষা এবং পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। বলা অনিবার্য-কিছু দিন আগেই কলম্বোতে আয়োজিত ‘ফিয়ারলেস অ্যাম্বাসেডরশিপ’ প্রকল্পে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে আসলেন বগুড়ার চিত্রশিল্পী আহসানা আঙ্গনা। দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের শিল্পের মাধ্যমে শক্তি ও প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতে এই উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয় ভারতীয় শিল্পী শিলো শিভ সুলেমানের হাত ধরে, নির্ভয়া ঘটনার পর ২০১২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত ১৫ জন নারী শিল্পীর সঙ্গে আহসানা আঙ্গনা অংশ নেন কলম্বোর এক অনন্য কর্মশালায়। সেখানে তাদের নিজস্ব জীবনের গল্প, সংগ্রাম ও স্বপ্নের আলোকে স্ব-প্রতিকৃতি আঁকার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়। এরপর স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে, তাদের জীবনের লড়াই ও অভিজ্ঞতা আত্মস্থ করেন শিল্পীরা। সেই সূত্র ধরেই এবার বাংলাদেশের বগুড়ায় আয়োজন করা হয়েছে। কলম্বো থেকে বগুড়ায় আঙ্গনা। আয়োজনের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার ‘আমাদের গল্পের ছাপ’ শিরোনামে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আমরা একসাথে হাঁটতে চাই আমাদের ভেতরের গল্পের পথে, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ হবে শান্তির, প্রতিটি ছাপ হবে সহযাত্রার-এভাবেই শুরু হয় ‘আমাদের গল্পের ছাপ’ বিষয়ক কর্মশালা। সঙ্গীর সঙ্গে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে শুভ্র কাপড়ের উপর-পায়ে লাল রঙ মেখে শুভ্র কাপড়ে এক একটি স্মরণীয় পদচিহ্ন রেখে এগিয়ে চলে। শান্ত সঙ্গীতের সুরে তাল মিলিয়ে-সবাই পায়ে রঙ মেখে সাদা কাপড়ে হেঁটে জীবনের গল্পের শুরু করেন, এ গল্প অগ্রসর হওয়ার গল্প। প্রত্যেকে হাতে একটি করে দীপ নিয়ে অগ্রসর হয় নিভে থাকা দীপসমূহের দিকে, একটি করে জ্বালিয়ে আলোয় নির্মাণ করে স্পন্দনশীল পরিবেশ। আলোর নিচে একটি কথা, একটি অভিপ্রায়। পদচিহ্ন দিয়ে আলোর সঞ্চারে পরিসরকে উষ্ণ করে তোলে। নিজেদের গল্প শেষে মাটি শুকালে তাতে সোনালি রঙের প্রলেপ লাগানো হয়-যেখানে ফাটল, সেখানেই জয়গাথা। ভাঙা মানেই শেষ নয়, বরং এক নতুন সৌন্দর্যের শুরু। যাত্রা এখানেই শেষ নয়-এ কেবল এক শুরু। আজকের দিনটি-আমাদের গল্পের সাক্ষী, আমাদের যাত্রার চিহ্ন, আমাদের একত্রিত হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি। এভাবেই শেষ হয় ‘আমাদের গল্পের ছাপ’ বিষয়ক কর্মশালা। এখানেই শেষ নয়, শেষ মানেই আবার শুরু-আজ থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের গল্প কথার ‘মুরাল’ আঁকা হবে। যা ২৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে। ৩০ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে। প্রতিটি শিল্পী তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলবেন সাহস, প্রতিরোধ ও আশার গল্প। তাদের সৃজনশীলতায় ফুটিয়ে তুলবেন সমাজ, প্রকৃতি ও নারীর সংগ্রামী কণ্ঠস্বর। আহসানা আঙ্গনা কথা দিয়েছিলেন তিনি দেশে ফিরেই বগুড়ায় এমনই এক শিল্পকর্ম গড়ে তুলতে চান। তার লক্ষ্য নারী কেন্দ্রিক কমিউনিটির পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনের অজানা গল্পগুলো দেয়ালচিত্রে রূপ দেওয়া, যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ অনুপ্রাণিত হতে পারেন। কথা রাখলেন আঙ্গনা-‘ঘ্রাণ থাকে গন্ধে, বর্ণে নয়’-এর মাধ্যমে। এটি শুধু প্রকল্প নয়, এটি সাহসী নারীদের কণ্ঠস্বর, প্রতিবাদের ভাষা এবং পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। আহসানা আঙ্গনার এই উদ্যোগ বাংলাদেশের শিল্প ও সমাজের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!