ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মেঘনা আলমের ব্যতিক্রমী আয়োজন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নিজের জন্মদিন, কন্যাশিশু দিবস উদযাপন ও মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২৫-এর ক্রাউনিং উপলক্ষে অনুন্নত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন করলেন মিস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও পরিবেশ আন্দোলনের সক্রিয়কর্মী মেঘনা আলম।

রোববার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘মিস বাংলাদেশ ইমপ্যাক্ট ফোরাম ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে রাজধানীর শ্যামলীতে ছায়াতল বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে সেখানকার অনুন্নত, সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘প্রকৃতি, শিশু ও ভালোবাসার এক দিন’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সেখানকার শিশুদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন মেঘনা আলম। পরে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে শিশুদের হাতে পুরস্কার ও খাবার তুলে দেন মেঘনা আলম। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে পরিবেশ রক্ষায় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাছের চারা রোপন করা হয়।

একইসঙ্গে তিনি ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২৫’-এর বিজয়ী সুমাইয়া হারুনের মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন। মুকুট পরানোর অনুষ্ঠানটি অনগ্রসর শিশুদের শিক্ষায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ছায়াতল বাংলাদেশ এবং এশিয়ার প্রথম এসডিজি-সম্মত, জলবায়ু-কেন্দ্রিক, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ভিত্তিক নেতৃত্ব গঠন প্ল্যাটফর্ম মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

এ বিষয়ে মেঘনা আলম বলেন, ‘নারী শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নন, তিনি জীবনের প্রতীক। এ বছর এক স্কুলের বঞ্চিত শিশুরা আমার জন্ম মাসটিকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে উদযাপন করতে চেয়েছিল। আমি চেয়েছিলাম সেই ভালোবাসাকে ফিরিয়ে দিতে এমনভাবে, যা সত্যিকারের পরিবর্তন আনে। তাই পাঁচ তারকা হোটেলে নয়, আমি বেছে নিয়েছি এই মুকুট উৎসবকে শিশুদের মাঝে উদযাপন করতে। কারণ শিশুর মতো নির্মল হৃদয়ের চেয়ে সুন্দর জায়গা আর নেই। আমাদের এই উদযাপন আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের পরের দিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এক আনন্দ ও উদ্দেশ্যমূলক দিনে। আমরা উদযাপন করছি ‘প্রকৃতি, শিশু ও ভালোবাসা’ থিমে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক গল্পপাঠ এবং ভবিষ্যতের আশার প্রতীক হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে। আমাদের মিস আর্থ কুইনরা শুধু মডেল নন, তারা রোল মডেল, সমাজসেবা, টেকসই জীবনধারা ও বৈশ্বিক বন্ধুত্বের অনুপ্রেরণা। আমরা জাতিকে একত্র করছি, পরিবেশ রক্ষা করছি এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদার করছি। আমরা বিশ্বকে দেখাচ্ছি, বাংলাদেশ বন্ধুত্বের, সমতার, ও মর্যাদার যোগ্য।’