ব্যক্তিগত বিমানসহ যেসব পুরস্কার পান মিস ইউনিভার্স

থাইল্যান্ডে চলছে ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা। বরাবরের মতো এবারের আসরেও অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি। বাংলাদেশ থেকে এবার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে তিনি বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। এদিকে আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোট প্রদানের শেষ দিন বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থাটি।

বিশ্লেষকদের মতে, মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া একজন প্রতিযোগীর জীবন সম্পূর্ণভাবে বদলে দিতে সক্ষম। চূড়ান্ত পর্বের সরাসরি সম্প্রচার থেকে শুরু করে পরবর্তী এক বছরে এই প্রতিযোগিতা প্রায় ৫০ কোটি বারের বেশি দেখা হয়। ফলে এটি ইতিহাসের অন্যতম সর্বাধিক দেখা ও জনপ্রিয় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত।

এই বার্ষিক আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করে থাইল্যান্ড ও মেক্সিকোভিত্তিক মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন। মিস ইউনিভার্সের বার্ষিক বাজেট প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। বিজয়ী হওয়ার পরবর্তী এক বছরের সব ব্যয়ভার বহন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ।

বিজয়ী প্রতিযোগী কী পান?

মিস ইউনিভার্স বিজয়ীকে এক বছরের বেতন হিসেবে নগদ আড়াই লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৩ কোটির বেশি) প্রদান করা হয়। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত মিস ইউনিভার্স সংগঠনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে এক বছর থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত মিস ইউনিভার্স বিজয়ীরা সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগও পান।

এ ছাড়া বিজয়ীকে পরবর্তী এক বছরে বাজার করা, রান্না, খাবার, পোশাক, প্রসাধনী বা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কোনো কিছুতেই চিন্তা করতে হয় না। তাকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজও দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে তিনি দুনিয়ার যেকোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারেন- তবে আগে থেকেই মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে অনুমোদন নিতে হয়। প্রতিটি সফরের হোটেল ব্যয়, খাবার, ফটোশুট, প্রেস মিটিং- সবকিছুর আয়োজন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ।

তবে একটি শর্ত থাকে- যেখানেই যান, মিস ইউনিভার্সের পক্ষ থেকে কিছু দাতব্য কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হবে। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কোনো কনসার্ট, ইভেন্ট, ফ্যাশন শো, অ্যাওয়ার্ড শো, পার্টি বা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে যেতে চাইলে সেসবের ব্যবস্থাও করে দেয় কর্তৃপক্ষই।