১৯৬২ সালের আজকের দিনে চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। আজ তার ৬৩তম জন্মদিন।
বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেওয়া এই গুণী শিল্পী ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর হঠাৎ করেই পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। বেঁচে থাকলে আজ ৬৩ বছরে পা দিতেন গিটারের জাদুকর।
আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন ও পরিবার এই কিংবদন্তির জন্মদিনটি বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে তার স্মরণে আয়োজন করা হয়েছে ‘আইয়ুব বাচ্চু: সেলিব্রেটিং লাইফ, লিগেসি অ্যান্ড চলো বদলে যাই’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠান।
কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ আয়োজন
আজকের এই অনুষ্ঠানে আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের সদস্য, তার ব্যান্ড এলআরবির সদস্যরা এবং দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠানে তার জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ করবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু, সংগীতশিল্পী নকীব খান, পার্থ বড়ুয়া, বাপ্পা মজুমদারসহ দেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্বরা।
এই আয়োজনে শুধু স্মৃতিচারণাই নয়, বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীরাও গাইবেন আইয়ুব বাচ্চুর কালজয়ী গানগুলো। একইসাথে এই অনুষ্ঠানে তার অপ্রকাশিত কিছু গান প্রকাশ করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে আইয়ুব বাচ্চু একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। দেশের ব্যান্ডসংগীতকে জনপ্রিয় এবং শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ব্যান্ড ‘এলআরবি’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন, যা আজও তরুণ প্রজন্মের মাঝে সমানভাবে জনপ্রিয়।
তিনি শুধু একজন অসাধারণ শিল্পীই ছিলেন না, বরং একজন দক্ষ গীতিকার, সুরকার এবং গিটারবাদকও ছিলেন। তার জাদুকরী গিটারের সুর লাখো ভক্তের হৃদয়ে এখনো অনুরণিত হয়।
বাংলাদেশের রক সংগীতকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার পেছনেও তার অবদান ছিল অপরিসীম।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন