বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম

গরুর মাংসের উপকারিতা-অপকারিতা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম

গরুর মাংসের উপকারিতা-অপকারিতা

রান্না করা গরুর মাংস ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গরুর মাংস একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রোটিন উৎস। এটি শুধু সুস্বাদু নয়, পুষ্টির দিক থেকেও এক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য।

গরুর মাংসের পুষ্টি উপাদানসমূহ

প্রোটিন: গরুর মাংস উচ্চ মানের প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। প্রোটিন পেশী গঠন, শরীরের কোষ পুনর্গঠন এবং হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে।

লোহা: হেম আয়রনের অন্যতম সেরা উৎস, যা শরীরে সহজে শোষিত হয়। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকর।

জিংক: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে এবং কোষ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভিটামিন বি১২: নার্ভ সিস্টেম সুস্থ রাখতে এবং রক্তকণিকা তৈরি করতে এটি অপরিহার্য।

ভিটামিন বি৬: প্রোটিন বিপাকে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক্রিয়েটিন: এটি পেশীর শক্তি ও সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা ব্যায়াম করেন তাদের জন্য উপকারী। 

কোলাজেন এবং অন্যান্য অ্যামিনো অ্যাসিড: হাড়, ত্বক এবং জয়েন্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

সেলেনিয়াম: গরুর মাংস একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মিনারেল, যা কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।

গরুর মাংসের বিভিন্ন অংশে পুষ্টিমান ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে কিছু নির্দিষ্ট অংশ আছে যেগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি পুষ্টিকর, বিশেষ করে প্রোটিন, ভিটামিন, ও মিনারেলের দিক থেকে।

সবচেয়ে পুষ্টিকর অংশসমূহ

টেন্ডারলয়েন ফিলে: চর্বি কম, প্রোটিন বেশি। খুবই নরম এবং সহজে হজমযোগ্য। ক্যালরি তুলনামূলকভাবে কম।

স্যারলয়েন: প্রোটিনের দিক থেকে খুব সমৃদ্ধ। এতে চর্বি তুলনামূলকভাবে কম, তাই স্বাস্থ্যকর।

রাউন্ড কাট: চর্বি কম এবং আয়রন ও জিংকের ভালো উৎস। যারা ডায়েট করছেন বা ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য ভালো।

চাক কাট: কিছুটা চর্বিযুক্ত হলেও এতে কোলাজেন ও অ্যামিনো অ্যাসিড বেশি থাকে, যা জয়েন্ট ও ত্বকের জন্য উপকারী।

লিভার: গরুর কলিজা সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর অংশগুলোর মধ্যে একটি। এটি ভিটামিন এ, বি১২, আয়রন, ফোলেট, এবং কপার-এর দারুণ উৎস। তবে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়, কারণ ভিটামিন এ অতিরিক্ত হলে বিষক্রিয়া হতে পারে।


গরুর মাংস পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাবার, যা সঠিকভাবে ও পরিমাণমতো খাওয়া হলে শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে। 

গরুর মাংসের উপকারিতা

পেশি গঠনে সাহায্য করে- গরুর মাংসে উচ্চমাত্রার পূর্ণমানের প্রোটিন থাকে, যা পেশি গঠন, পুনর্গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা ব্যক্তিদের জন্য খুব উপকারী।

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে- গরুর মাংসে হেম আয়রন থাকে, যা শরীরে সহজে শোষিত হয় এবং হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। এটি রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধে কার্যকর।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- গরুর মাংসে থাকা জিংক শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে, এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে- ভিটামিন বি১২ ও বি৬ স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ভালো রাখতে সাহায্য করে। বি১২ ঘাটতি হলে স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যা হতে পারে।

শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়- গরুর মাংসে থাকা ক্রিয়েটিন এবং অন্যান্য অ্যামিনো অ্যাসিড দেহের কোষে শক্তি জোগায়, যা দৈনন্দিন কাজে ও খেলাধুলায় কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য উন্নত করে- এতে থাকা বায়োটিন, কোলাজেন ও প্রোটিন ত্বককে সুন্দর রাখতে, চুল ও নখ শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

গরুর মাংসে অনেক উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত খেলে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। 

গরুর মাংসের অপকারিতা

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
গরুর মাংসে অনেক সময় স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল বেশি থাকে। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি
চর্বিযুক্ত গরুর মাংস ক্যালোরি ও ফ্যাটে সমৃদ্ধ। নিয়মিত অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং স্থূলতার ঝুঁকি তৈরি হয়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, বেশি পরিমাণে লাল মাংস বা প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন: সসেজ, সালামি) খেলে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বা অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ
অনেক সময় গরুর মাংস রান্নার সময় অতিরিক্ত লবণ বা ফ্যাট ব্যবহার করা হয়, যা উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে পারে।

হজম সমস্যা
চর্বিযুক্ত বা বেশি ভাজা গরুর মাংস হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে, যেমন: অ্যাসিডিটি, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।

অ্যান্টিবায়োটিক বা হরমোনের প্রভাব
অনেক খামারে গরুকে দ্রুত মোটা করার জন্য হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, যা মানুষের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!