রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা কমে যায় এবং ক্ষত সারাতে সময় লাগে। এর ফলে হঠাৎ রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত ক্লান্তি ও বারবার সংক্রমণের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গু, ভাইরাল সংক্রমণ কিংবা বোন ম্যারোর সমস্যার কারণেও প্লাটিলেটের মাত্রা কমতে পারে। তাই প্লাটিলেট কমে গেলে তা অবহেলা করলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে প্লাটিলেট বাড়ানো সম্ভব। রূপালী বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য নিচে এমন কিছু উপকারী খাবার ও অভ্যাস তুলে ধরা হলো-
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন-সি প্লাটিলেট বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। কমলা, লেবু, কিউই, পেঁপে, স্ট্রবেরি ও বেল পেপার প্লাটিলেটকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও সংক্রমণের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
ফোলেট-সমৃদ্ধ খাবার: ফোলেট (ভিটামিন বি–৯) কোষ বিভাজন ও নতুন প্লাটিলেট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পালং শাক, শিম, মুসুর ডাল, বিট, অ্যাভোকাডো খেলে প্লাটিলেটের ঘাটতি কমতে পারে।
ভিটামিন বি–১২ ও আয়রন: ভিটামিন বি–১২ ও আয়রনের অভাব প্লাটিলেট কমিয়ে দিতে পারে। তাই ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, সবুজ শাকসবজি, কুমড়ার বীজ খাদ্য তালিকায় রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্টও গ্রহণ করা যেতে পারে।
পেঁপে পাতার রস: অনেকদিন ধরেই পেঁপে পাতার রস প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে কাঁচা পাতা সরাসরি খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বাজারে পাওয়া স্ট্যান্ডার্ডাইজড প্রস্তুত রসই তুলনামূলক নিরাপদ—তাও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে।
পর্যাপ্ত পানি ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা: পর্যাপ্ত পানি শরীরের রক্তের ভলিউম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বোন ম্যারোর ক্ষতি এড়াতে অ্যালকোহল কমানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম ও হালকা ব্যায়াম শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে এবং স্ট্রেস কমায়।

