ঢাকা রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

দেশে এলো করোনা পরীক্ষার ২৮ হাজার কিট

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
করোনা পরীক্ষা। ছবি-সংগৃহীত

দেশে আবারও বাড়তে থাকা করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে ২৮ হাজার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট দেশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।

বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘বর্তমানে দেশের কিছু জায়গায় কোভিড পরীক্ষা সীমিতভাবে চলছে, তবে মেয়াদোত্তীর্ণ কিটের কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাই আমরা জরুরি ভিত্তিতে ২৮ হাজার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট সংগ্রহ করেছি। আজকের মধ্যেই আরও ১০ হাজার আর্টিফিশিয়াল অ্যান্টিজেন কিট দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি।’

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত কিট নিশ্চিত করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‌‘সব রোগীর করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। শুধু যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা কোভিডের উপসর্গ রয়েছে এবং যারা জটিল অবস্থায় রয়েছেন, তাদেরই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। চিকিৎসকরাও উপসর্গভিত্তিক পরামর্শ দেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাদের এখনো একটিও ডোজ দেওয়া হয়নি, বিশেষ করে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে কাজ করেন কিংবা যারা অন্তঃসত্ত্বা, তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। পাশাপাশি ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের বুস্টার ডোজ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

দেশে এখনো সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে ডা. আবু জাফর বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সংক্রমণের হার ছিল ১২ থেকে ১৩ শতাংশের মধ্যে। মঙ্গলবার (১০ জুন) ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের করোনা ধরা পড়ে।’

প্রতিবেশী দেশগুলোতে কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভয়ের কিছু নেই। আমরা চাই, জনগণ আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোক। গণমাধ্যমের সহায়তায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সবাইকে জানাতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সবাইকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করানোর আহ্বান জানানো হয়।