চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে যৌথভাবে একটি চুক্তি করেছে রাশিয়া ও চীন। দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০৩৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মহাকাশবিষয়ক সংবাদমাধ্যম স্পেস ডট কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ২০২৬ সালের জন্য নতুন বাজেট প্রস্তাব প্রকাশ করেছে। ঠিক এরপরই রাশিয়া ও চীনের এই উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ সামনে এলো।
চাঁদে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে ২০২৪ সালে রুশ বার্তাসংস্থা ‘তাস’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোসকসমস-এর মহাপরিচালক ইউরি বরিসভ বলেছিলেন, ‘রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে চাঁদে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চায়। প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্পে রোবট ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য চাঁদে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণাগার স্থাপন করা, যা চন্দ্রপৃষ্ঠ ও পরিবেশ সংক্রান্ত মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় সহায়তা করবে। ভবিষ্যতে চাঁদে মানববসতি স্থাপন আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এ জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতেই আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অঞ্চল তুলনামূলকভাবে আলোপ্রাপ্ত ও জলের সম্ভাব্য উপস্থিতির কারণে গবেষণা ও বসবাসের উপযুক্ত।
এ বিষয়ে স্পেস ডট কম জানিয়েছে, এই বৃহৎ প্রকল্পে এরই মধ্যে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মিসর, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ মোট ১৭টি দেশ।