ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

নতুন নিয়মে সহজেই যেভাবে পাবেন কনটেন্ট মনিটাইজেশন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ১০:১৩ এএম
ফেসবুক থেকে আয়। ছবি- সংগৃহীত

ফেসবুকের কনটেন্ট মনিটাইজেশনের নিয়ম এখন আরও কঠোর হয়ে গেছে। আগে ব্যক্তি প্রোফাইল বা পেজ থেকে খুব সহজেই মনিটাইজেশন চালু করা যেত এবং একাধিক পেজ থেকে অনেকে আয়ের সুযোগ পেতেন। কিন্তু নতুন নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এখন ১০০ জন যোগ্য ক্রিয়েটরের মধ্যে মাত্র ৫ জন মনিটাইজেশনের অনুমোদন পাচ্ছেন। ফলে ফেসবুক মনিটাইজেশন ক্রিয়েটরদের কাছে ‘সোনার হরিণ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী শুধু রিলস পোস্ট করেই মনিটাইজেশনের সুযোগ নেই। রিলসের ভিডিও হতে হবে ১০ সেকেন্ডের বেশি এবং তা ভাইরাল হওয়া জরুরি। পাশাপাশি দীর্ঘ ভিডিও- অর্থাৎ ৩ মিনিট বা তার বেশি—ভাইরাল না হলে মনিটাইজেশন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আগের মতো দুই থেকে তিন লাখ ভিউ পেলেই ভিডিও গ্রহণযোগ্য হতো, এখন মিলিয়ন ভিউ না হলে তা বিবেচনা করা হচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র রিলসের ওপর নির্ভর থাকলে মনিটাইজেশন পাওয়া কঠিন। কারণ ফেসবুক মূলত লং ভিডিওতেই বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে এবং এখান থেকেই আয় বেশি হয়। তাই রিলসের পাশাপাশি নিয়মিত লং ভিডিও বানাতে হবে, সঙ্গে রাখতে হবে ছবি, পোস্ট ও নিয়মিত অ্যাক্টিভিটি। হঠাৎ এক-দুইটি ভাইরাল রিলস দিয়ে মনিটাইজেশন পাওয়ার দিন শেষ।

যাদের পেজে মনিটাইজেশন চালু রয়েছে, তাদের আয় বরং বাড়ছে। তথ্য অনুযায়ী এক লাখ ভিউয়ের ভিডিও থেকে ৫ থেকে ৬ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো ভিডিওতে ১৭ লাখ ভিউ পেলে ১০০ ডলারেরও বেশি আয় করছেন ক্রিয়েটররা।

সব মিলিয়ে ফেসবুক এখন ধারাবাহিকতা, মান এবং অরিজিনাল কনটেন্টকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্লগ, ফানি ভিডিও, টিউটোরিয়াল, টিপস বা অন্য যেকোনো ধরনের লং ভিডিও নিয়মিত আপলোড করা এখন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংক্ষেপে বলা যায়, নতুন নিয়মে মনিটাইজেশন পাওয়া কঠিন হলেও ধারাবাহিক পরিশ্রম ও মানসম্পন্ন ভিডিও তৈরি করতে পারলে এটি এখনও বড় সুযোগ। অন্যদিকে নতুন ক্রিয়েটরদের জন্য সতর্ক সংকেত—রিলস ভাইরালের পাশাপাশি লং ভিডিওতে সাফল্য না পেলে মনিটাইজেশন পাওয়া প্রায় অসম্ভব।