বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম

শিশির মনির কেন আবরার হত্যায় জড়িতদের আইনজীবী, ব্যাখ্যা দিলেন মির্জা গালিব

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম

শিশির মনির কেন আবরার হত্যায় জড়িতদের আইনজীবী, ব্যাখ্যা দিলেন মির্জা গালিব

ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের নৃশংস নির্যাতনে শহিদ হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যায় জড়িতদের পক্ষে আইনজীবী হিসাবে নাম আসে এই সময়ের আলোচিত সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরের। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনার।
এই মামলায় আসামিদের পক্ষে শিশির মনিরের আইনজীবী হিসাবে থাকার বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা যুক্তিতর্ক। যদিও এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খুলেননি তিনি।
তবে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে শিশির মনিরের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।


নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া ওই পোস্টে গালিব বলেন, ‘আবরার হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১২ জন আসামি শিশির মনিরের চেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তবে পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট আর পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখে তার চেম্বার ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের মামলা গ্রহণ করে নাই। এই পাঁচ জনকে নিরাপরাধ বলে মনে হয় নাই তাদের কাছে।

তিনি বলেন, ‘বাকী সাত জনের মধ্যে দুইজনের ক্ষেত্রে আইনজীবী হিসাবে শিশির মনিরের সাবমিশান ছিল মৃত্যুদন্ডের পরিবর্তে আদালত যেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
অর্থাৎ এই দুইজনকে তিনি নির্দোষ বলে মনেও করেন নাই, আদালতে আইনজীবী হিসেবে তাদেরকে নির্দোষ বলে দাবিও করেন নাই। বরং তিনি শুধু মনে করেছেন যে, অপরাধের সঙ্গে এই দুইজনের সংশ্লিষ্টতা মৃত্যুদন্ড পাওয়ার লেভেলের না। আরেকটু ছোট শাস্তি হওয়া উচিত। বাকী পাঁচ জনের ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক স্বাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তার মনে হয়েছে তারা ফৌজদারি অপরাধ করেন নাই।
মির্জা গালিব আরও বলেন, ‘আমি যেহেতু স্বাক্ষ্যপ্রমাণের ডিটেইলস ব্যক্তিগতভাবে পর্যালোচনা করি নাই, শিশির মনিরের জুডিশিয়াল মাইন্ডের জাজমেন্ট ঠিক আছে কিনা, আমি তা বলতে পারব না। কিন্তু এইটুকু আমি দেখতে পারছি যে, তিনি যাদেরকে অপরাধী মনে করেছেন তাদের মামলা নেন নাই। দুইজনের ক্ষেত্রে তাদেরকে নিরাপরাধ হিসেবে আর্গুমেন্টও করেন নাই। বরং তাদের সেন্টেন্সিং (শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ) এর ক্ষেত্রে আর্গুমেন্ট করেছেন। এইটাকে জুডিশিয়াল নৈতিকতার বাইরে বলে মনে হচ্ছে না আমার কাছে’।
ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘আবরার আমাদের সময়ের হিরো। যারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমাদের সবার কাম্য। একজন আইনজীবী কাউকে অপরাধী হিসেবে বিশ্বাস করলে কোর্টে গিয়ে তাকে নিরাপরাধ হিসেবে আর্গুমেন্ট করতে পারেন না। করলে সেইটা অনৈতিক হয়।
‘কিন্তু একজন আইনজীবী যদি মনে করেন, অভিযুক্ত কেউ অপরাধের তুলনায় বেশি শাস্তি পেয়েছেন অথবা ভুলক্রমে অপরাধ না করে শাস্তি পেয়েছেন, তাহলে তার পক্ষে দাঁড়ানোর নৈতিক অধিকার রাখেন। এই জায়গা থেকে আমি শিশির মনিরের পজিশানকে সমালোচনা করব না। এই মামলা হয়তো উনি না নিলেই ভাল করতেন। কিন্তু উনি যদি সত্যিই কাউকে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নিরাপরাধ মনে করেন, তাহলে তার চিন্তা অনুযায়ী প্রফেশনাল আচরণ করাই উনার কর্তব্য।
মির্জা গালিব বলেন, ‘আমি যেহেতু স্বাক্ষ্যপ্রমাণের ডিটেইলস ব্যক্তিগতভাবে পর্যালোচনা করি নাই, আমার আস্থা আছে এমন একাধিক আইনজীবী যদি পর্যালোচনা করে শিশির মনিরে সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন, তাহলে শিশির মনিরের জুডিশিয়াল মাইন্ডের জাজমেন্ট-এর ব্যাপারে আমার সিদ্ধান্ত আমি পরিবর্তন করব’।

আবু/এস

Link copied!