গ্রেপ্তার হওয়ার পর যখনই আদালতে এসেছেন তখনই পাগলের প্রলাপ বকেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হয়ে উঠেছিলেন আক্রমণাত্মকও।
বুধবার (১৪ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুযোগ পেয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে বেঁফাস বক্তব্য দেন।
এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা নিয়েও তিনি হেও করে কথা বলেন। তিনি এও বলেন, নিষিদ্ধ হলেও তারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার আশায় আছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় একটি মামলায় গত ২১ এপ্রিল শাজাহানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছিলো।ওই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিলো। সে অনুযায়ী শুনানির জন্য আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর কাজলা এলাকায় ১৮ জুলাই আওয়ামী, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ থেকে ৪ হাজার নেতাকর্মী এবং পুলিশের ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী থানার সদস্যরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, রড ও পিস্তল ছিল।
বিকেল ৫টায় তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে মো. সাকিব হাসান মারা যান। ওই ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় ৪৪১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।