কেরানীগঞ্জ কারাগারের তত্ত্বাবধানে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে’ (পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তারা বলছেন, আপিল মঞ্জুরের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালেই হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে তাকে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার এ কে এ এম মাসুম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এটিএম আজহারুল ইসলাম পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন।
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতি এজলাসে উঠেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আইনি বিষয় তুলে ধরেন। এরপর রায় ঘোষণা শুরু হয় ৯টা ৫৫ মিনিটে। রায় ঘোষণার সময় রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের আইনজীবী, জামায়াতের শীর্ষ নেতা ও তাদের দলীয় আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, জামায়াতের ঢাকা উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :