রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় মোল্লা মাসুদ, আরাফাত ইবনে নাসির ও এম এ এস শরীফের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। এদিন দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াদ আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে কুষ্টিয়ার সোনার বাংলা রোড এলাকার একটি বাড়িতে গোয়েন্দা তৎপরতা ও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পরবর্তীকালে সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় শ্যুটার আরাফাত ও এম এ এস শরীফকে। অভিযানে অংশ নেয় ৪৬ স্বতন্ত্র ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের একটি ইউনিট। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে চারজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।
আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী জানান, এই সন্ত্রাসী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, চাঁদাবাজি ও নাশকতা চালিয়ে আসছিল।
সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ তালিকাভুক্ত ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর মধ্যে অন্যতম এবং কুখ্যাত সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত।
আপনার মতামত লিখুন :